পাকিস্তানে (Pakistan) ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। একের পর এর চার্চ ভাঙা ও খ্রিষ্টান মহল্লাগুলিতে চলছে হামলা। বহু বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাট চলছে। এই ঘটনা দেশটির ফয়সলাহাদ জেলার। ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে চলছে হামলা। পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার ঘটনায় সম্প্রতি ভারতের মণিপুরে একের পর এক চার্চে ভাঙচুর ও তার জেরে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষের কথা তুলমূল্য আলোচনা চলছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদ জেলায় চার্চগুলিতে হামলার পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বুধবার ফয়সালাবাদ জেলার জরানওয়ালা শহরে ব্লাসফেমির (ধর্ম অবমাননা) অভিযোগের ঘটনার পর শত শত জনতা পাঁচটি গির্জা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ কর্মকার। জেলা প্রশাসন সাত দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সরকার কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান ব্যতীত সব ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে, পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার দেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের জারি করা আদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ জারি করেছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের মতে, কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগের পর হামলা শুরু হয়েছিল। রটিয়ে দেওয়া হয়, জরানওয়ালার সিনেমা চকের একটি বাড়ির কাছে ধর্মগ্রন্থ কোরানের বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠা পাওয়া গেছে। যেখানে দুই খ্রিস্টান ভাই বাস করতেন। গুজব জরানওয়ালা জুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে যখন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) সদস্যরা উগ্র বার্তা দিয়ে হামলা শুরু করে। দুটি গির্জায় আক্রমণ করা হয়। একটি ক্যাথলিক এবং অন্যটি স্যালভেশন আর্মির। খ্রিষ্টান কলোনিত্ই আগুন ধরানো হয়। জরানওয়ালার যাজক ইমরান ভাট্টি বলেন, ওই এলাকায় ইউনাইটেড প্রেসবিটারিয়ান চার্চ, অ্যালাইড ফাউন্ডেশন চার্চ এবং ঈসা নাগরিতে অবস্থিত শেহরুনওয়ালা চার্চ সহ মোট পাঁচটি গির্জা ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে।