Ukraine War: ইউক্রেনে পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল হামলা স্বীকার করল রাশিয়া

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করল ইউক্রেন। এদিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, বিধ্বস্ত মারিউপোল শহরের আজবস্টল ইস্পাত কারখানায় আটকে থাকা সেনা ও সাধারণ…

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করল ইউক্রেন। এদিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, বিধ্বস্ত মারিউপোল শহরের আজবস্টল ইস্পাত কারখানায় আটকে থাকা সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখছে না। নতুন করে তারা সেখানে হামলা চালাচ্ছে।

ফলে আটকে থাকা কাউকেই উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

যদিও ইউক্রেনের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে ৬০০ ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে। দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলিভ শহরে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করেছে তারা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগেই পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করার অভিযোগ তুলেছিল ইউক্রেন। এবার রাশিয়া কার্যত সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিল। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে তারা একাধিক পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল হামলা চালিয়েছে।

যুদ্ধের কারণেই লাখো লাখো ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধই ইউরোপে সবথেকে ভয়ঙ্কর শরণার্থী সমস্যা তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত কয়েক মাস ধরে চলা এই অসম যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ফের একবার আন্তর্জাতিক দুনিয়র কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিন জেলেনস্কির উপদেষ্টা জানিয়েছেন তাঁরা জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাদ পশ্চিমী দেশগুলোর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পেতে পারেন। তার আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেভাবে যুদ্ধ চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

ইউক্রেনের প্রধান সেনা কমান্ডার বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাঁদের আরও বেশি করে রকেট লঞ্চার সিস্টেম প্রয়োজন। রকেট লঞ্চার সিস্টেম ছাড়া তাঁরা কখনওই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পেরে উঠবেন না।

অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমী দেশগুলির ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে চালায় এই যুদ্ধের অবসান হচ্ছে না। রাশিয়া ইতিমধ্যেই পশ্চিমী দেশগুলির পাঠানো অস্ত্র ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে মস্কোর বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ডলারের বিনিময়ে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে রুশ মুদ্রা রুবল।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে তাঁরা আরও বেশি পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেবেন। বিশ্বের অন্য দেশগুলিরও একই পথে হাঁটা উচিত।

বৃহস্পতিবার মস্কো সে দেশ থেকে ডেনমার্ক দূতাবাসের ৭ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে সহযোগিতা করতে পোল্যান্ড ও সুইডেন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে। এ বিষয়ে তারা বৃহস্পতিবার ওয়ার্সে এক বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ঘনিষ্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেচেঙ্কো বলেছেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তিনি সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, আমেরিকা রুশ সেনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ইউক্রেনকে সরবরাহ করছে। রুশ সেনাদের খতম করার জন্যই তারা এই তথ্য তুলে দিয়েছে ইউক্রেনের হাতে।