ভারতে হিজাব বিতর্কে (Hijab controversy) মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai)। তিনি জানিয়েছেন, ‘হিজাব পরে স্কুলে না ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভয়ঙ্কর।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মালালা বলেছেন, ‘শিক্ষা এবং হিজাবের মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়ার জন্য কলেজ বাধ্য করছে। হিজাব পরে স্কুলে না ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভয়ঙ্কর। ভারতীয় মুসলিম মহিলাদের প্রতি এই আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিৎ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের।’
পড়তে চেয়ে মালালা ইউসুফজাই জঙ্গি হামলায় জখম হয়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল ইংল্যান্ডে। এর পর থেকে তিনি পরিবার সহ সেদেশেই আছেন। যৌথভাবে তিনি ও ভারতীয় কৈলাস সত্যর্থীকে নোবেল দেওয়া হয়।
মালালা ইউসুফজাই মানবাধিকার রক্ষা আন্দোলনকারী। তিনি ভারতে চলতে থাকা হিজাব বিতর্কে মুখ খুলতেই বিতর্ক বিশ্বজুড়ে আরও বেড়েছে। এই বিতর্কের সূত্রপাত গতমাসে। কর্ণাটকের সরকারি কলেজে হিজাব পরা ছাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই রাজ্যের উদুপির ছয় পড়ুয়াকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে উঠেছিল অভিযোগ। এরপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
সেই বিক্ষোভের রেশ ধরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে ছাত্র ও ছাত্রীদের অনেকে ঢোকেন। আরও বিতর্ক তৈরি হয় যখন কর্নাটকের কুন্ডাপুর প্রি ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, হিজাব পড়ে ছাত্রীরা কলেজে আসতে পারবে না। অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তে মুসলিম ছাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ জানায়। ছাত্রীরা জানায়, হিজাব পরে কলেজে আসতেই তারা অভ্যস্ত। এই পোশাক ছাড়া কলেজে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাত্রীদের এই দাবিতে কান দেননি।
অন্যদিকে, গেরুয়া উত্তরীয় পরে কলেজে আসা পড়ুয়াদের পিছনে বিজেপির চাল আছে বলে উঠছে অভিযোগ। এক হিজাব পরা ছাত্রীকে উত্যক্ত করার ভিডিও বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলেছে। এই বিতর্কের আগুন মালালার বয়ান আরও উস্কে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।