Salman Rushdie: ‘শয়তানের বাণী’ লিখেছিলেন রুশদি, ছুরিকাঘাতে জখম পাকস্থলী নিয়ে সংকটজনক

অনেক কিছু লিখেছেন। বারবার বেস্ট সেলার হয়েছে তাঁর বই। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সলমন রুশদি (Salman Rushdie) প্রবল বিতর্কিত ‘শয়তানের বাণী’ বই লিখে। আসলে…

অনেক কিছু লিখেছেন। বারবার বেস্ট সেলার হয়েছে তাঁর বই। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সলমন রুশদি (Salman Rushdie) প্রবল বিতর্কিত ‘শয়তানের বাণী’ বই লিখে। আসলে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বইটির নাম বাংলা আক্ষরিক অনুবাদে হয়েছে ‘শয়তানের বাণী’। এই উপন্যাসে ইসলামকে অবমাননা করার অভিযোগে সেই আশির দশক থেকে গুপ্তঘাতক পিছু নিয়েছে রুশদির। গুপ্ত হত্যা এড়াতে সাড়ে তিন দশক লুকোচুরি খেলেছেন রুশদি। অবশেষে নিউইয়র্কে রুশদিকে কোপাতে পারল সেই ছদ্মবেশী ‘শয়তান’।

মুহূর্তের অসতর্কতায় রুশদির উপর নেমে এসেছে ছুরির পর ছুরির আঘাত। বুকার জয়ী প্রবীণ এই লেখক এখন পেনসিলভানিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভেন্টিলেশনে আছেন বিতর্কিত লেখক। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যান্ড্রু ওইলি বলছেন খবর ভালো নয়। রুশদি কথা বলতে পারছেন না। তাঁর পাকস্থলী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ। তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এদিকে রুশদির উপর হামলার জেরে বিশ্ব জু়ড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আবার রক্ষণশীল ইসলামপন্থীদের দিক থেকে আসছে বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক উক্তি। রুশদি কট্টর হিন্দুত্ববাদেরও প্রবল বিরোধী। তিনি রক্ষণশীল খ্রিষ্টান রীতির সমালোচক।

নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে হাদি মাতার নামে এক যুবক রুশদিকে ছুরি দিয়ে পরপর আঘাত করে। এর পরেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।  খুনের লক্ষ্যেই হামলা হয়েছিল। তবে সফল হয়নি হামলাকারী  হাদি মাতার। ছুরি দিয়ে রুশদির  ঘাড়ে এবং তলপেটে মারাত্মক  আঘাত করে হাদি মাতার। সে নিউ জার্সির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে খুন করা হয়েছে? তা এখনও জানা যায়নি৷ 

তদন্তে নেমে হাদির বিষয়ে যা তথ্য পাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাতে জানা যাচ্ছে সে ইরান সরকারের সমর্থক। ইরানের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রচার করত হাদি।

এদিকে আশির দশক থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সলমন রুশদি তাঁর বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের জন্য বিতর্কের মুখে পড়েছেন৷ এই বই নিষিদ্ধ করেছে ইরান সরকার৷ ইরানের ততকালীন সর্বচ্চো নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনির নির্দেশে রুশদির ইরান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ফতোয়া জারি করেন খোমেনি। এর পর থেকে বারবার খুনের হুমকি পেতে হয়েছে রুশদিকে। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বইটি বহু মুসলিম ধর্ম অবমাননাকারী বলে মনে করেন। বিতর্কিত বইটি ১৯৮৮ সালে ইরান সরকার নিষিদ্ধ করে। রুশদির উপর ফতোয়া জারি হয়।