ন্যাটো সদস্য পোলান্ডে মিশাইল হামলা, রাশিয়ার সঙ্গে লড়বে মার্কিন সেনা?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় দেশগুলির জোট অর্থাৎ NATO সদস্যদের উপর কোনও হামলা হলে তার জবাব দেয় ওয়াশিংটন। সেই নিয়মে এবার কি ন্যাটো সদস্য…

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় দেশগুলির জোট অর্থাৎ NATO সদস্যদের উপর কোনও হামলা হলে তার জবাব দেয় ওয়াশিংটন। সেই নিয়মে এবার কি ন্যাটো সদস্য পোলান্ডের (Poland) উপর মিশাইল হামলার প্রত্যাঘাত করবে ন্যাটো বাহিনী? বিশ্ব জুড়ে ছড়াল এই প্রশ্ন।

BBC জানাচ্ছে, পোল্যান্ড জুড়ে তীব্র আতঙ্ক। কারণ মিশাইল ফের আছড়ে পড়তে পারে এমনই সম্ভাবনা বাড়ছে। যদিও পোল্যান্ডের সীমান্ত পার করেনি রাশিয়ার সেনা।

AFP জানাচ্ছে, সম্ভাব্য একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পোল্যান্ডে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটান। এই মিসাইল হামলায় অন্তত দুজনের মৃত। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে জারি হয়েছে সতর্কতা।

AL Jazeera জানাচ্ছে, মিসাইলটি পোল্যান্ডের লিভিভ শহরে আঘাত হেনেছে। এই শহরটির দূরত্ব সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটারেরও কম। 

মস্কো থেকে রুশ সংবাদ সংস্থা TASS জানাচ্ছে, পোল্যান্ড সীমান্তে কোনওরকম সেনা আগ্রাসন মানবে না ক্রেমলিন। ইউক্রেনে এখনও জারি আছে সেনা অভিযান। পোল্যান্ডের উপর মিসাইল হামলা অস্বীকার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানানো হয়েছে এটি উস্কানিমূলক প্রচার।

AP সংবাদ বিশ্লেষণে উঠে আসছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড। সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষার বিষয়ে ন্যাটো অঙ্গীকারবদ্ধ। ফলে ইচ্ছাকৃত হোক বা দুর্ঘটনাবশত কোনও কারণে রাশিয়ার দিক থেকে উড়ে আসা মিসাইল হামলার কারণে ন্যাটো প্রত্যাগমন করতে পারে এমনও সম্ভাবনা আছে।

Washington Post জানাচ্ছে, পোল্যান্ডের সীমান্ত এলাকায় রুশ সেনার উপস্থিতি সবসময় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছেড়ে এলেও ফের রুশ হামলায় তছনছ ডোনেৎস্ক শহর। কমপক্ষে ৬০ ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে।