Bangladesh: KLO ঘনিষ্ঠ বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বাংলাদেশ সেনার গুলির লড়াই, রক্তাক্ত পরিস্থিতি

রাতভর জঙ্গলঘেরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার গুলির লড়াইয়ে আতঙ্ক পরিস্থিতি দেশটির জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বান্দরবানে। চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকাটি মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া। সাম্প্রতিক…

Bangladesh army

রাতভর জঙ্গলঘেরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার গুলির লড়াইয়ে আতঙ্ক পরিস্থিতি দেশটির জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বান্দরবানে। চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকাটি মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া। সাম্প্রতিক সময়ে এমন আক্রান্ত হয়নি বাংলাদেশের সেনা। ফলে বিতর্ক বাড়তে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরামের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্পর্ক আছে। পশ্চিমবঙ্গের কেএলও জঙ্গি সংগঠনটির বিশেষ প্রশিক্ষণ চলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মায়ানমার সীমান্তের দুর্গম এলাকায়। একাধিকবার ধরা পড়া কেএলও সদস্যরা এমন তথ্য দিয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর: Bangladesh: হাসিনার আহ্বানে বন্দুক নামালেন জ্যোতিরিন্দ্র, সেই রক্তাক্ত পর্বের বীজ জীবিত

বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠা জনসংহতি সমিতি এখন কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। সেনাবাহিনীর দাবি, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির মূল অংশের সঙ্গে গুলির লড়াই ঘটে বুধবার রাতে। বান্দরবানের রাইংক্ষ্যং লেক এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে গুলির লড়াই হয়। মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশ সেনার ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের। জখম এক সেনা সদস্যের নাম ফিরোজ। গুলিতে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী খতম হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানাচ্ছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ৩ জেএসএস সদস্য নিহত। তল্লাশি চালিয়ে থেকে ১টি এসএমজি, ৩টি দেশীয় বন্দুক, সেনাবাহিনীর আদলে তৈরি ৩ সেট পোশাক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণে গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর তরফে নিহত অন্য ৩ ব্যক্তিকে জনসংহতি সমিতির সদস্য দাবি করা হলেও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি

বুধবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটলেও আত্মসমর্পণকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী জেএসএস নেতা সন্তু লারমা নীরব। মায়ানমার সীমান্তের কাছে সংঘর্ষের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, শান্তিচুক্তি করলেও তা মানছে না জেএসএস বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দারবান অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে স্বশাসনের দাবিতে রক্তাক্ত সংঘর্ষ চলেছিল জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে। পরে একটি অংশ অস্ত্র নামিয়ে নেয়। বর্তমানে কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত জনসংহতি সমিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

রাজধানী ঢাকা থেকে বান্দারবান জেলার দূরত্ব প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার। মায়ানমারের চিন ও রাখাইন প্রদেশ সংলগ্ন এই এলাকা।