নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই ওয়ার্কাস পার্টি সংগঠনের পলিট ব্যুরো সদস্য। তায় আবার শাসক কিম জং উনের বোন ও বিশেষ উপদেষ্টা। ফলে ক্ষমতার একেবারে কাছাকাছি কিম ইও জং। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার হাল ধরতে হলে যে বিশেষ গুণটি দরকারি অর্থাৎ আগ্রাসী মনোভাব সেটি বিস্তর আছে। সবমিলে বোনকেই নিজের উত্তরসূরী হিসেবে আরও খানিকটা এগিয়ে আনলেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানাচ্ছে, কিম ইও জং এখন সরকারের নীতি নির্ধারণ কমিটির নতুন সদস্য। বিবিসি, রয়টার্স সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর, অচিরেই নীতি নির্ধারণ কমিটির রাস টেনে নেবেন কিম ইও। বছর ৩৪ এর ইও পারিবারিক দিক থেকে দেশের একছত্র শাসক কিম পরিবারের সরাসরি সদস্য।
বোনকে সরকারি নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য করার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে ফের গুঞ্জন, উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রধান কিম জং উন দায়িত্ব ছাড়বেন। তিনি বোন ইও-কেই ক্ষমতায় দেখতে চান। কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম ইয়ো জং এখন স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনের (এসএসি) সদস্য হয়েছেন। এই কমিশনের প্রধান তার ভাই। এসএসি সদস্য হওয়া তার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অবস্থান।
কিমের নির্দেশে সরকারি নীতি নির্ধারণ কমিটির নতুন সাত জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কিম ইয়ো জং একমাত্র নারী। ন’জন সদস্যকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন গত এক দশক ধরে কিম জং উনের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারকের দায়িত্বে থাকা ৮২ বছর বয়সী প্যাক পং জু।