Bangladesh: ‘খেলা হবে’ জনক শামীম ওসমান দেখলেন অনুব্রত গ্রেফতার, মোবাইলে আসছে ব্রেকিং

তিনিও দেখলেন তবে দূর থেকে। প্রতিবেশি বাংলাদেশের (Bangladesh) দাপুটে ‘বিতর্কিত’ সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মোবাইলে ঝলকে উঠল পশ্চিমবঙ্গে তাঁরই এক ছায়া অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর।…

anubrata_khela-hobe

তিনিও দেখলেন তবে দূর থেকে। প্রতিবেশি বাংলাদেশের (Bangladesh) দাপুটে ‘বিতর্কিত’ সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মোবাইলে ঝলকে উঠল পশ্চিমবঙ্গে তাঁরই এক ছায়া অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর। দুজনেই দুই বাংলায় খেলা হবে স্লোগানের কারনে চর্চিত।

শামীম ওসমান বাংলাদেশের চর্চিত আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য। রাশভারি, গরম ভাষণ দেওয়ার জন্য বিশেষ আলোচিত শামীম ওসমান। তাঁর বিরুদ্ধে বারবার উপদলীয় গোষ্ঠি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। তবুও নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজের দাপট বজায় রেখেছেন শামীম ওসমান। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের পুর নিগম অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) ভোটের আগে চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে খেলা হবে স্লোগানের জন্মদাতা।

   

বছর পা়ঁচেক আগে শামীম ওসমানে জনপ্রিয় বক্তব্য ‘আসো খেলা হবে’ বাংলাদেশে তুমুল আলোড়ন ফেলেছিল। আওয়ামী লীগের বিরো়ধী দলগুলির অভিযোগ ছিল শামীম ওসমান হুমকি দিচ্ছেন। সেই স্লোগান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়। ভারতের জাতীয় নির্বাচনে গত লোকসভা ভোটের সময় খেলা হবে স্লোগানটি ঢুকে পড়ে রাজনৈতিক মহলে।

অচিরেই শামীম ওসমানের ‘আসো খেলা হবে’ স্লোগানটি একটু ছোট করে ‘খেলা হবে’ বলে প্রচলিত হয়। সেটি লুফে নেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে ‘খেলা হবে’ ছিল তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজিত স্লোগান। এই স্লোগান রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে জনমানসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে থাকে।

সেই সময় থেকে বাংলাদেশের শামীম ওসমান ও পশ্চিমবঙ্গের অনুব্রত মণ্ডলের নাম একসাথে উঠে আসে। যদিও দুই রাজনৈতিক ‘চর্চিত’ ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোনও প্রতক্ষ্য যোগাযোগ হয়নি। তবে শামীম এবং অনুব্রত দুজনেই পরস্পরের নাম জানেন। তাদের পরিচয় ‘খেলা হবে’ স্লোগান সূত্রে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিতর্কিত তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে কোটি কোটি টাকার গোরু পাচার মামলার তদন্তে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই মামলার তদন্তে উঠে এসেছে কিছু বিএসএফ অফিসারের মদতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেআ়ইনিভাবে সীমান্ত পার করিয়ে গোরু চালান হতো বাংলাদেশে। তদন্তে এও উঠেছে পাচারকারীরা বিএসএফের পাশাপাশি বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) কিছু অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই পাচার চালায়। তদন্তে নেমে সিবিআই বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদ, মালদা হয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচারের রুট ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে টার্গেট করে। অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে গোরু পাচারের টাকা ঢুকত অনুব্রতর কাছে।