S-400 এর চেয়েও শক্তিশালী ইজরায়েলের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে এই ইরানি মিসাইল

Iran vs Israel Conflict: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইরানের ‘ফাতাহ-১’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে আয়রন…

Fattah-1

Iran vs Israel Conflict: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইরানের ‘ফাতাহ-১’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে আয়রন ডোম টিকতে পারেনি। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৪০০ কিলোমিটার এবং এটি কম উচ্চতায়ও উড়তে পারে।

Advertisements

ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইজরায়েল তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’-এর অনেক প্রশংসা করেছিল, কিন্তু ইরানের আক্রমণ থামাতে পারেনি। আয়রন ডোম নিয়ে এত আলোচনা হয়েছিল যে আমেরিকাও এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ‘গোল্ড ডোম’ তৈরি করছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল, ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমকে ভেঙে ফেলেছিল।

   

রিপোর্ট অনুসারে, আয়রন ডোম ভেদকারী ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘ফাতাহ-১’। এটি একটি হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার। ‘ফাতাহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হলো, এটি কম উচ্চতায় ভ্রমণের সময়ও শত্রুকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। কম উচ্চতায় ভ্রমণের সুবিধা হলো, রাডার সহজেই এটির সন্ধান করতে পারে না। এর অর্থ হলো এই ক্ষেপণাস্ত্র রাডারকেও বোকা বানাতে পারে।

ইরান ২০২৩ সালে বিশ্বকে ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র দেখিয়েছিল। এটি ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। এর পরে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এর নতুন রূপ তৈরি করা হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ফাতাহ-২’ ক্ষেপণাস্ত্র।

ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক ওয়ারহেডও বহন করতে পারে। আমেরিকা ও ইজরায়েল সহ অনেক দেশই চায়নি যে ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করুক, কিন্তু প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা সত্ত্বেও ইরান এটি প্রস্তুত করেছিল।