Ukraine War: ইউক্রেনের পাশে জার্মানি, পাঠাচ্ছে মিসাইল

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে চলেছে। শনিবার জার্মানি জানিয়েছে তারা ইউক্রেনে অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী। যার মধ্যে থাকছে ট্যাঙ্কও। শুধু তাই নয়, সামরিকের পাশাপাশি…

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে চলেছে। শনিবার জার্মানি জানিয়েছে তারা ইউক্রেনে অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী। যার মধ্যে থাকছে ট্যাঙ্কও। শুধু তাই নয়, সামরিকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও রাশিয়াকে চাপে রাখতে সচেষ্ট জার্মানি। রাশিয়ার জন্য SWIFT গ্লোবাল ব্যাংকিং সিস্টেমের কিছু বিধিনিষেধকে সমর্থন করতেও প্রস্তুত তারা।

জার্মানির চ্যান্সেলরি শনিবার জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁরা ইউক্রেনে ১ হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র এবং ৫০০ স্টিংগার সারফেস টু এয়ার মিসাইল পাঠাবেন। তিনি বলেছেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটি যুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণকারী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য, আমাদের সর্বোত্তম ক্ষমতা দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।” নেদারল্যান্ডকে এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই ইউক্রেনে ৪০০টি জার্মানিতে তৈরি ট্যাঙ্ক ও বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠানোর অনুমতি দেয়। সরকার এস্তোনিয়া থেকে ৯টি ডি-৩০ হাউইটজার এবং গোলাবারুদ পাঠানোরও অনুমোদন দিয়েছে।

   

জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেন সহ অন্যান্য একাধিক জায়গায় মারাত্মক অস্ত্র রপ্তানি না করার পক্ষপাতী ছিল। তারা সেই নীতি মেনে চলবে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেনকে সাহায্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে জার্মানি। কারণ দেশটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে। অথচ ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি। যদিও এর আগে জার্মানি ইউক্রেনের রক্ষায় ৫ হাজার হেলমেট দিয়েছিল।

জার্মানির অর্থনীতি ও জলবায়ু মন্ত্রক শনিবার জানিয়েছে, জার্মানি ইউক্রেনে ১৪টি সাঁজোয়া গাড়ি এবং ১০ হাজার টন জ্বালানি পাঠাবে৷ দেশের বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং অর্থনীতিমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, “রাশিয়ার নির্লজ্জ হামলার পরে, ইউক্রেনকে অবশ্যই আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হতে হবে। ফেডারেল সরকার তাই জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহে ইউক্রেনকে সমর্থন করছে।”