Pakistan: নিষিদ্ধ বিদেশী তহবিল মামলায় গ্রেফতারের পথে ইমরান খান

নিষিদ্ধ বিদেশী তহবিল মামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে (Imran Khan) সোমবার যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

Imran khan

নিষিদ্ধ বিদেশী তহবিল মামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে (Imran Khan) সোমবার যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ তহবিল মামলায় ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লাহোর পুলিশের সহায়তায় এফআইএ ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করবে।

এ ছাড়া গ্রেপ্তারের জন্য চার সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিজি এফআইএর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) নিষিদ্ধ তহবিল মামলায় পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি পিটিশন খারিজ করে দেয়।

   

এর আগে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় সোমবার লাহোর হাইকোর্টে হাজির হন ইমরান খান। তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি আদালতে আরেকটি সুরক্ষামূলক জামিন আবেদন করেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় সাংজানি থানায় নথিভুক্ত করা মামলায়ও এই আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে মামলা চলাকালীন আদালত ইমরান খানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপর সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত হাজির হওয়ার শেষ সুযোগ দিলেও হাজির না হলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তা সত্ত্বেও এ মামলায় ইরান খান দেরিতে হাজির হন।

হাইকোর্টের বাইরে কড়া নিরাপত্তা
ইমরান খানের শুনানিকে কেন্দ্র করে লাহোর হাইকোর্টে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান ফটকে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, অন্যদিকে ইমরান খানের সমর্থকরাও হাইকোর্টের বাইরে অবস্থান করছেন।

অযোগ্য ঘোষণার পর বিক্ষোভ হয়েছে
গত বছর নিষিদ্ধ তহবিল মামলায় ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এর পর তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মীরা সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় গত বছরের অক্টোবরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই মামলায় ইমরান খানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।