Brazil: ব্রাজিলের রাজপথে লাল ঝড়, ফের ক্ষমতার কাছাকাছি লুলা

অতি দক্ষিণপন্থী থেকে ফের বাম শাসনের মুখে ব্রাজিল (Brazil)। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা (Lula da Silva) আবারও মসনদের কাছাকাছি। সর্বশেষ ফলাফলে…

অতি দক্ষিণপন্থী থেকে ফের বাম শাসনের মুখে ব্রাজিল (Brazil)। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা (Lula da Silva) আবারও মসনদের কাছাকাছি। সর্বশেষ ফলাফলে লুলার নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি ৪৮.৪% ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্ব্বি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো (Jair Bolsonaro) পেয়েছেন ৪৩.২% ভোট।

  • ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিখ্যাত আমাজন অরণ্য ধংস করিয়ে বহুজাতিক সংস্থার হাতে সেই জমি তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
  • করোনা সংকটে বলসোনারো বারবার বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার সতর্কতা উপেক্ষা করে বিতর্ক তৈরি করেন

বিস্তারিত সংবাদ

   

বিবিসির খবর, ব্রাজিলের সংবিধান অনুসারে যদি কোনও দল ৫০ শতাংশ ভোট না পায় তাহলে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুটি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা হবে। সেই নিয়মে এবারের ভোট লুলা ও বলসোনারোর মধ্যে। নির্বাচনে লড়াই করা বাকি দলগুলি আর ভোটে অংশ নিতে পারবে না।

তাৎপর্যপূর্ণ, প্রথম দফায় বামপন্থী লেবার পার্টি ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই তিন শতাংশের ভোট এবার লুলার ঘরে ঢুকবে। সেক্ষেত্রে ওয়ার্কার্স পার্টির লুলার ৪৮ শতাংশ ও লেবার পার্টির ৩ শতাংশ জুড়ে ৫১ শতাংশ ভোট হয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হতে দরকার ৫০ শতাংশ পার করে ফেলবেন লুলা।

চূড়ান্ত ভোটের আগেই ব্রাজিলে লাল ঝড়। রাজধানী ব্রাসিলিয়া, গুরুত্বপূর্ণ শহর রিও ডি জেনেইরো সহ দেশটির সর্বত্র বাম সমর্থকরা উচ্ছাস শুরু করেছেন। এদিকে নিজের শক্তি ধরে রেখে প্রেসিডেন্ট বলসোনারো পরবর্তী ভোটের জন্য সমর্খন জোটাতে মরিয়া।

বিবিসি জানাচ্ছে, ২০০৩ – ২০১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বামপন্থী লুলা। ব্রাজিলের ক্ষমতার পালাবদলের ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন লুলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁর জেল হয়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে তিনি মুক্ত হন।

করোনা সংক্রমণে ব্রাজিলে ছিল ভয়াবহ পরিস্থিতি। সেই সময় বারবার প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্খ্য সংস্থার সংঘাত ও বিতর্কিত বয়ান তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলসোনারো। ট্রাম্প বরাবর বলসোনারোকে সমর্থন করেন। ট্রাম্পের পরাজয়ের পর বাইডেনের আমলে কোণঠাসা হচ্ছেন বলসোনারো।

বলসোনারো সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিখ্যাত আমাজন অরণ্য ধংস করিয়ে বহুজাতিক সংস্থার হাতে সেই জমি তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।