নয়াদিল্লি: সোমবার রাতে আচমকাই অবনতি ঘটে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮০ বছর বয়সি এই নেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি কোনও কোনও মুহূর্তে স্থির থাকলেও সামগ্রিক উন্নতি হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।
ঢাকায় চিনের বিশেষজ্ঞ দল
বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসক দল। ফলে বিদেশ থেকেই বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেকে আনা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছায় চিনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। তারা হাসপাতালে গিয়েই খালেদার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসে।
খালেদার চিকিৎসায় বর্তমানে কাজ করছে একটি আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল বোর্ড—যেখানে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পাশাপাশি রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ ও লন্ডনের এক চিকিৎসক। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করেই চিকিৎসায় যুক্ত হবেন চিনা চিকিৎসকেরা।
উদ্বেগ বাড়ছে কূটনৈতিক মহলে
এদিকে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতি ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে কূটনৈতিক মহলেও। সোমবার রাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে দু’টি পোস্ট করে তিনি জানান, “বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জেনে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। বাংলাদেশের জনজীবনে তাঁর দীর্ঘ অবদান রয়েছে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারতের তরফে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।”
বিএনপির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
মোদীর বার্তার পর বিএনপি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। শুধু ভারত নয়—তুরস্ক ও রাশিয়ার ঢাকার দূতাবাস থেকেও খালেদার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে। কয়েক দিন আগেই আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
২৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে। চিকিৎসকদের মতে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসন, হাসপাতাল ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করা হয়েছে।
