পাক শাসন বিরোধী বাম নেত্রী, বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রয়াত

পাকিস্তান আমলের বাম ছাত্র রাজনীতির তুখোড় নেত্রী, পরে বাংলাদেশের (Bangladesh) দাপুটে মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী- মতিয়া চৌধুরী (Matia Chowdhury) প্রয়াত। মৃত্যুকালীন সময়েও তিনি ক্ষমতাচ্যুত…

Matia Chowdhury

পাকিস্তান আমলের বাম ছাত্র রাজনীতির তুখোড় নেত্রী, পরে বাংলাদেশের (Bangladesh) দাপুটে মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী- মতিয়া চৌধুরী (Matia Chowdhury) প্রয়াত। মৃত্যুকালীন সময়েও তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী। বুধবার (১৬ অক্টোবর)  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত মতিয়া চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়। দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মতিয়া চৌধুরীর প্রয়াণ সংবাদ পেয়ে শোক জানান ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেত্রী মতিয়া চৌধুরীকে ঢাকায় সমাধিস্থ করা হবে।

   

শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভপতি। আর মতিয়া চৌধুরী অন্যতম আলোচিত নেত্রী। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪২ সালে। অবিভক্ত ভারতে তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। তারা ছিলেন বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ভারত ভাগের পর পাকিস্তানের অংশে পড়ে এই এলাকা।

১৯৬৪ সালের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে বামপন্থী পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সভাপতি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী।

১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত হন মতিয়া চৌধুরী। পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম,আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে গণ আন্দোলনে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।  গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ফেটে পড়লেও মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনও বিক্ষোভ হয়নি।