Rohingya: মানবপাচার চক্রের ট্রলার ডুূবল বঙ্গোপসাগরে, ২০০ রোহিঙ্গা নিখোঁজ

মর্মান্তিক পরিস্থিতি। উত্তাল বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) ডুবে গেল রোহিঙ্গা (Rohingya refugee) যাত্রীদের নিয়ে গোপনে সাগর সীমাম্ত পার করা মানব পাচারকারীদের ট্রলার। কমপক্ষে দুশো জন…

মর্মান্তিক পরিস্থিতি। উত্তাল বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) ডুবে গেল রোহিঙ্গা (Rohingya refugee) যাত্রীদের নিয়ে গোপনে সাগর সীমাম্ত পার করা মানব পাচারকারীদের ট্রলার। কমপক্ষে দুশো জন নিখোঁজ বলে খবর আসছে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে গোপনে মালয়েশিয়া (Malaysia) যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানাচ্ছে, কক্সবাজার থেকে গোপনে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা হলেও প্রায় দুশোর বেশি যাত্রী নিখোঁজ। বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী নেমেছে তল্লাশি অভিযানে।

   
  • বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির চলছে বাংলাদেশে।
  • মায়ামমারে বর্মী সেনার গণহত্যার ভয়ে পলাতক লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা।
  • রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রাজি নয় মায়ানমার।
  • রোহিঙ্গাদের পাচার করে বিপুল রোজগার হয় মানব পাচারকারীদের।

বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন:

মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়াতে থাকে। তাদের নিয়ে প্রবল শরণার্থী সংকটে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিশে থাকে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠির সদস্যরা। তবে কর্মহীন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরতে চায়না। সেই কারণে তারা সাগর পথে গোপনে বিভিন্ন দেশে ঢোকার চেষ্টা করে।

এরকমই বহু যাত্রী নিয়ে গোপনে বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার যাচ্ছিল মানব পাচারকারীদের ট্রলার। সেই ট্রলার ডুবে যায়। বিবিসির খবর, নিখোঁজ যাত্রীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সাঁতার কেটে যারা তীরে ফিরে এসেছেন তাদের কোস্টগার্ড ও পুলিশ আটক করেছে। ধৃতরা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখাল, বান্নাপাড়া ও হলবনিয়ায় রয়েছে।

মায়ানমার থেকে উৎখাত হওয়া লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে শিবির করে আছে। তাদের শরণার্থী হিসেবে জায়গা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ বর্মী সেনা গণহত্যা চালানো শুরু করেছিল ২০১৬ সাল থেকে। এর পরে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ঢুকে পড়ে। তারাই এখন কাজের সন্ধানে মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে।

বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরের বাহারছড়া সৈকতে হাঁটতে গিয়ে স্থানীয়রা দেখেন কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সাগর তীরে বসে আছে। তারা রোহিঙ্গা বুঝতে পেরে পুলিশকে জানানো হয়। বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মহম্মদ জানান, সাগর থেকে ভেসে আসা ৩০ জনকে আমরা পাহারায় রেখেছি। ধৃতরা জানিয়েছে ট্রলারে করে তাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝ সাগরে ট্রলারটির নিচের অংশ ফেটে যায়। ট্রলারে দুশোর বেশি যাত্রী ছিল।