দম্পতির ‘খুনির খোঁজে’ বিড়াল রহস্যের সমাধান করছে পুলিশ

কে খুনি? কোথায় সে? নিথর এক দম্পতির দেহে নেই খুনির ভয়াল হাতের চিহ্ন অদৃশ্য এক খুনির সন্ধান পেতে পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরছে। এদিকে ওই দম্পতির…

কে খুনি?
কোথায় সে?
নিথর এক দম্পতির দেহে নেই খুনির ভয়াল হাতের চিহ্ন

অদৃশ্য এক খুনির সন্ধান পেতে পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরছে। এদিকে ওই দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পাশাপাশি আরও এক রহস্য জমজমাট-একটি বিড়াল। তার ঝিমিয়ে পড়ার কারণ জানলেই নাগাল মিলবে অদৃশ্য আততায়ীর সন্ধান। বিড়াল রহস্য সমাধান সূত্র বন্দি হচ্ছে ক্লিনিকাল পরীক্ষায়।

বিড়াল রহস্যের সমাধান হবে কি? বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ বলছে বিড়াল দিয়েই ওই দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

গত ১৮ আগস্টের ঘটনা। ঢাকার কাছে গাজীপুরে মিলেছিল শিক্ষক দম্পতির নিথর দেহ। মৃত দুজনের নাম জিয়াউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জলি। দুজনের দেহ পড়েছিল তাদেরই গাড়ির মধ্যে।   কারও শরীরে ছিল না আঘাতের দাগ। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর পর ঢাকা মহানগর পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

শিক্ষক দম্পতির ব্যক্তিগত গাড়ির ভিতর বিষাক্ত গ্যাস জমেছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে  বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার  ইব্রাহিম হোসেন জানান, আরও কিছু পরীক্ষার পর বাকিটা স্পষ্ট হবে।

তিনি বলেছেন, একটি বিড়াল দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে দম্পতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।  ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

শিক্ষক দম্পত্তির মৃত্যুর তদন্তে গুরুত্ব ভূমিকা নিয়েছে একটি বিড়াল। যে গাড়িতে দুজনের দেহ মিলেছিল তার ভিতর সেই বিড়াল রেখে এসি চালিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেখা যায় ১০ থেকে ১২ মিনিট পর সেই বিড়ালটি দুর্বল হতে থাকে। আরও কিছু পরে বিড়ালটি একদম নুয়ে পড়ে। এই পরীক্ষা থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই  শিক্ষক দম্পত্তির মৃত্যু বিষাক্ত গ্যাস থেকেই হয়েছে।

তবে ভিসেরা রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জটিল প্রশ্নের উত্তর মিলবে। যেখানে দেহ মিলেছিল তার আসেপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিকটবর্তী এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  পুলিশ  গাড়ির ভেতরে থাকা বিভিন্ন ছাপ উদ্ধার করে তাকে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে পাঠিয়েছে।