গোরু চোর এক লাস্যময়ী নেত্রী, তার ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে বাকিরা

গোরু চুরি করাই নেত্রীর বিপুল রোজগার। গোরু চোরদের সঙ্গে রীতিমতো ওঠাবসা। চোরাই গোরু বিক্রি করার জন্য নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি। রাজনীতির আড়ালে এসবই চলত রমরমিয়ে। কে…

গোরু চুরি করাই নেত্রীর বিপুল রোজগার। গোরু চোরদের সঙ্গে রীতিমতো ওঠাবসা। চোরাই গোরু বিক্রি করার জন্য নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি। রাজনীতির আড়ালে এসবই চলত রমরমিয়ে। কে বলবে পরিচিত বাবলী এক দাপুটে গোরু চোর। তার হুকুমে বাকি চোরেরা গুটিয়ে যেত।

ভারত থেকে গোরু পাচার চলত বাংলাদেশে। বিপুল কালো টাকার লেনদেনের এই গোরু পাচার তদন্তে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতা অনুব্রত মণ্ডল জেলে। বিএসএফ কমান্ডান্ট জেলে। সীমান্তের ওপারে যখন এই পরিস্থিতি তখন বাংলাদেশে ধৃত এক লাস্যময়ী গোরু চোর। তার কাণ্ডকারখানা দেখে চমকে গেছে বাংলাদেশের পুলিশ।

   

ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্তে গোরু চোর চক্র ধরা পড়েছে। এই চক্রের এক কিং পিন বাবলী আক্তার পুলিশের জালে। তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত বাবলি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী। ঢাকার ধামরাইয়ে গোরু চুরির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সংগঠনের এক নেত্রী গোরু চোর এতে প্রবল অস্বস্তিতে আওয়ামী লীগ। তড়িঘড়ি ছাত্রলীগের নেত্রী বাবলী আক্তারকে তার সাংগঠনিক পদ থেকে সরানো হয়। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। জানা গেছে গোরু চুরিতে ধৃত বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন।

তদন্তে উঠে এসেছে, বাবলী আক্তারের কাছে গোরু চোরেরা বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু চুরি করে এনে জমা রাখত। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে গোরু বিক্রি হতো।

শুধু চোরাই গোরু বিক্রি নয়, বেআইনি ষাঁড়ের মাংস বিক্রি করত বাবলী। সবটাই করত ক্ষমতাসীন দলের নেত্রীর পরিচয়ে। পুলিশের জেরায় গোরু চুরির অভিযোগ স্বীকার করেছে আওয়ামী লীগের ছাত্রী নেত্রী।