Afghanistan: ধুঁকতে থাকা তালিবান জঙ্গিদের নজরানা কবুল বাইডেনের ! জাওয়াহিরি নিকেশ

গোটা বিশ্ব জেনে গেছে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধংসের পরিকল্পনাকারী তৎকালীন আল কায়েদা জঙ্গি প্রধান লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি,…

breaking-News

গোটা বিশ্ব জেনে গেছে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধংসের পরিকল্পনাকারী তৎকালীন আল কায়েদা জঙ্গি প্রধান লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বর্তমান আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরিকে কাবুলে খতম করা হয়েছে। বিবিসির খবর(Afghanistan) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরি খতম হয়েছে।

কাবুলে খতম জাওয়াহিরি! ফের আফগানিস্তানের মাটিতে ঢুকছে মার্কিন বাহিনী? উঠছে এই প্রশ্নে।

   

বিবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধংস, পেন্টাগনে হামলা করেছিল আল কায়েদা। সেই হামলার পর আফগানিস্তানে ঢুকেছিল মার্কিন সেনা। ২০২১ সালে আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ তালিবান জঙ্গিদের হাতে ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা তুলে দিয়ে সরে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় এলেও তালিবান জঙ্গিদের সরকার চরম সংকটে। তাদের পাশে কোনও দেশ নেই। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মাঝে কাবুলে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তালিবান এই হামলার পথ খুলে দিল।

ধুঁকতে থাকা তালিবান জঙ্গিদের তরফে এই উপহার! প্রশ্ন উঠছে। 

প্রথমে সোভিয়েত পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যাবার পর দুবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান জঙ্গিরা। গত এক বছর ধরে দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের শাসন করছে তালিবান জঙ্গি সরকার।  নামেই শাসন। কারণ, প্রবল আর্থিক সংকটে তালিবান বিপর্যস্ত। সবরকম বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ। বিশ্ব জুড়ে বারবার আবেদন করছে তালিবান। কিছু মানবিক সাহায্য বাদে কেউ তেমন সাড়া দেয়নি। এমনকি তালিবান সরকারের কোনও স্বীকৃতি নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো মুখ ঘোরাবেই। তবে মার্কিন বিরোধী শক্তি চিন ও রাশিয়াও  তালিবানদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে। ফলে তালিবান অসহায়। এই অবস্থায় কাবুলে মার্কিন হানা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ! তালিবান জঙ্গিদের হাতে ক্ষমতা তুলে চলে আসার পর আফগানিস্তানের মাটিতে এই প্রথম হামলা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সাহায্যের আশায় তালিবান পথ খুলে দেয়নি তো? ঘনিষ্ঠ হলেও আল কায়েদা পৃথক সংগঠন।

আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিকেশ করে মার্কিন নৌ কমান্ডোরা।  এর পর আল কায়েদার প্রধান হয় মিশরীয় জাওয়াহিরি। কাবুলেই আল কায়েদা জঙ্গি প্রধান জাওয়াহিরির অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর হামলার সবুজ সংকেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি জানান, আল কায়েদা সংগঠনের উপর এটা দ্বিতীয় সর্বাধিক বড় আঘাত। এর আগে লাদেনকে খতম করা হয়।

২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার) পেন্টাগন ও পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী  হামলা চালিয়েছিল আল কায়েদা জঙ্গিরা। সেই জঙ্গি হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সিআইএ এই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে জাওয়াহিরিকে। সে ছিল ওসামা বিন লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা। রবিববার  আফগান রাজধানী কাবুলে জাওয়াহিরির গোপন আস্তানায় সিআইএ ড্রোন হামলা চালায়। সেখানেই নিকেশ হয়েছে জাওয়াহিরি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই জঙ্গি নেতা  আর বেঁচে নেই। আমরা কখনও হারিনি।