বাসন্তীতে উদ্ধার ১২টি তাজা বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র পঞ্চায়েত ভোটে ‘ব্যবহার’ নিয়ে কটাক্ষ

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে বারুদের স্তূপে বাংলার ছবি ততই প্রকট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার চলেছে, তবে অভিযোগ সবই লোক দেখানো। দক্ষিণ…

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে বারুদের স্তূপে বাংলার ছবি ততই প্রকট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার চলেছে, তবে অভিযোগ সবই লোক দেখানো।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসন্তী থেকে উদ্ধার হয়েছে এক আধটা নয়, ৮ আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১২ টি তাজা বোমা।এই ঘটনার পরই বাসন্তীতে ছড়িয়ে পড়েছে রীতিমতো উত্তেজনা। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনেকেই মনে করছেন বোমার বস্তার উপর বসে রয়েছে বাসন্তী।

বাসন্তীর গরান বস এলাকা থেকে একটি বাগানের মধ্যে থেকে এক ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বম্ব স্কোয়াড। কারা এই বোমা কী উদ্দেশ্যে রেখে গিয়েছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রথমে ঘটনাস্থলে সন্দেহজনক কিছু দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের জালে আসে দুজন অভিযুক্ত। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয় ২৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী দল বিজেপি সরাসরি আঙ্গুল তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলের ইন্ধনের কারণেই দুষ্কৃতিদের বাড়বাড়ন্ত। তারা ঘরে আগ্নেয় অস্ত্র রাখার সাহস দেখাচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দু’মাস ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করছে।

শাসক ও বিরোধী দুই দলকেই কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের মধ্যে দুষ্কৃতি লেনদেন চলে।

গত পুরনির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জােলার সবকটি পুরসভাতে বিজেপি নেমে গেছে তিন নম্বরে। সিপিআইএম উঠে এসেছে দ্বিতীয় হয়ে। ফলে এই জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে টিএমসি ও সিপিআইএমের মূল লড়াই।