Travel: বাস্তবের মাটি থেকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাবে জোনাকি গুহায়

আদিম অন্ধকার ভেদ করে লক্ষ জোনাকের ঝাড়বাতি জ্বলে সেখানে। সেখানে গুহার ভিতর জেগে থাকে প্রাকৃতিক ভাস্কর্যের অবাক বিস্ময়। নিউজিল্যান্ডের ওয়াইটোমো গ্লো ওয়ার্ম কেভস এমনই এক…

waitomo-glowworm-caves-travel-story

আদিম অন্ধকার ভেদ করে লক্ষ জোনাকের ঝাড়বাতি জ্বলে সেখানে। সেখানে গুহার ভিতর জেগে থাকে প্রাকৃতিক ভাস্কর্যের অবাক বিস্ময়। নিউজিল্যান্ডের ওয়াইটোমো গ্লো ওয়ার্ম কেভস এমনই এক আশ্চর্য সুন্দরের ইতিকথা।

ওয়াইটোমো কেভস ১২০ বছরের সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক ইতিহাস বুকে নিয়ে জেগে আছে হাজার হাজার জোনাকি পোকার আলোয়। সময় যেন সেখানে থমকে আছে যুগ যুগ ধরে। স্থানীয় মাওরি জাতির ভাষায় Wai মানে জল এবং Tomo মানে শুঁড়িপথ বা গুহা। ১৮৮৭ সালে মারোই প্রধান টিনোরাউ এবং জনৈক ইংলিশ সারভেয়ার, ফ্রেড ম্যাক আবিষ্কার করেন এই গুহা। গুহার ভিতর বহমান জলধারায় ভেলা ভাসিয়েছিলেন তাঁরা মোমবাতি নিয়ে। যে পথে তাঁরা আবিষ্কার করেন জোনাকির অতন্দ্র পাহারা।

   

পরবর্তীতে আবার যখন তাঁরা অভিযানে যান তখন খোঁজ পান আশ্চর্য লাইমস্টোন ফর্মেশনের। যেগুলি আসলে বহু যুগ আগে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি স্ট্যালাগটাইট এবং স্ট্যালাগমাইট ফর্মেশন। এর পর টিনোরাউ স্বাধীনভাবে আবার আবিষ্কার করেন গুহার আরও একটি বহির্মুখ, যেটি বর্তমানে গুহার প্রবেশপথ। নানা ধরনের ফাঙ্গাস ঢেকে রেখেছে গুহার ভিতরের দেওয়াল। বিশেষ করে মাশরুমের মতো ফাঙ্গাস দেখা যায় এখানে।

পিঁপড়ে, দৈত্যাকার ঝিঁঝিঁ আর লক্ষ জোনাকির সান্নিধ্য নিয়ে গা ছমছম করা বোট রাইডিং করে এই গুহা অভিযানে যান ট্যুরিস্টরা। বিস্মিত, মুগ্ধ এবং কিছুটা ভয় জড়ানো অনুভূতি নিয়ে তাঁরা যখন ফিরে আসেন তখনও গুহার ভিতর জেগে থাকে লক্ষ জোনাকির আলো। আর এতখানি বিস্ময় বুকের ভিতর লুকিয়ে রেখেও পৃথিবী থাকে নির্বিকার, নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে উদাসীন।