Travel Story: সম্রাটের নির্বাসনস্থল থেকে ট্রাভেলারদের স্বর্গোদ্যান

১৫০২ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজদের দ্বারা আবিষ্কৃত হবার পর থেকেই এই দ্বীপ (st-helena) হয়ে ওঠে ইতিহাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে ওঠে সেন্ট হেলেনা দ্বীপ।  বিভিন্ন ইতিহাসের…

st-helena

১৫০২ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজদের দ্বারা আবিষ্কৃত হবার পর থেকেই এই দ্বীপ (st-helena) হয়ে ওঠে ইতিহাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে ওঠে সেন্ট হেলেনা দ্বীপ।  বিভিন্ন ইতিহাসের পাশাপাশি বিখ্যাত নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর নির্বাসন স্থল হিসেবে এটি পরিচিত।

আগ্নেয়গিরি থেকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপের উৎপত্তি হয়েছিল। এই অঞ্চলটিতে রয়েছে সেন্ট হেলেনা, অ্যাসেনসিওন দ্বীপ এবং ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপের ইতিহাস ৫০০ বছরের কম নয়। পর্তুগীজ নাবিক জোয়া ডা নোভা ভারতবর্ষ থেকে স্বদেশে ফিরে যাবার পথে ১৫০২ সালের ২১ মে এই দ্বীপ আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে ২১ মে হচ্ছে সম্রাট ‘কনস্ট্যান্টিন দ্য গ্রেট’ এর মা হেলেনার জন্মদিন। নোভা তাই দ্বীপের নামকরণ করেন সেন্ট হেলেনা। ( Travel Story )

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

প্রচুর বাণিজ্যিক জাহাজ তখন প্রতিদিন এই দ্বীপে এসে ভিড়ে যেত। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে। এতসবের মধ্যে ফার্নান্দো লোপেজের নামই ইতিহাসে লিখিত হয়েছে সেন্ট হেলেনার প্রথম স্থায়ী অধিবাসী হিসেবে।

১৫৮৮ সাল পর্যন্ত সেন্ট হেলেনা ছিল ব্রিটিশদের কাছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সময় কাটানোর এক লুকনো জায়গা ( Travel Story )। তাদের কাছেও এই দ্বীপের তথ্য পৌঁছে গিয়েছিল ততদিনে। এরই মাঝে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কমান্ডার থমাস ক্যাভেন্ডিস একটি পর্তুগীজ জাহাজ আটক করেন দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ক্যাভেন্ডিস সে জাহাজের নাবিকদের বাধ্য করেন সেন্ট হেলেনা নিয়ে যেতে। এতেই ক্যাভেন্ডিস ইতিহাসের প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে সেন্ট হেলেনা ভ্রমণ করে ফেলেন। তখনও ব্রিটিশরা সরাসরি এসে এই দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেনি। ১৬৫৯ সালে ক্যাপ্টেন জন ডাটনের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ নৌবহর এসে পৌঁছে সেন্ট হেলেনায় আর সঙ্গে নিয়ে আসে দাস আর স্থায়ী কর্মাচারী। শুরু হয়ে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ। ১৬৭৩ সালে ডাচরা ব্রিটিশদের আক্রমণ করলেও পরাজিত হয়ে ফিরে যায়।

ডাচরা পরাজিত হয়ে ফিরে যাবার পর এই দ্বীপে ব্রিটিশদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়। বছর বছর তারা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে এবং দ্বীপের জঙ্গলাকীর্ণ স্থানসমূহকে বসবাসযোগ্য করে তোলে। আর এসব কাজের জন্য আফ্রিকা থেকে কয়েক শত দাস মুক্ত করে নিয়ে আসে ব্রিটিশরা। এই সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হচ্ছে জ্যোতির্বিদ এডমান্ড হ্যালির আগমন হয়। তিনি এই দ্বীপে প্রায় বছরখানেক বসবাস করেন এবং একটি মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করে তারকা পর্যবেক্ষণ করেন। ১৭৫০ এর পর থেকে প্রতিটি ব্রিটিশ পরিবার, যারা এই দ্বীপে বেড়াতে আসতো, সঙ্গে নিয়ে আসতো একাধিক দাস। যার ফলে ৭০ এর দশকে এক জরিপে দেখা যায়, ব্রিটিশদের চেয়ে দাসের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়ে গেছে। ১৭৯২ সালে তাই এক রাজকীয় ডিক্রীর মাধ্যমে সেন্ট হেলেনায় দাস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে এখানে সারা বছরে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। ইতিহাস এবং প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ইতিহাস সমৃদ্ধ সেন্ট হেলেনা দ্বীপ-এ ( Travel Story )।