Offbeat Sangser: পাহাড়, অরণ্য আর তিস্তায় মোড়া সুন্দরী সাংসের

দৈনন্দিন একঘেয়েমি কর্ম জীবনে যাঁরা ক্লান্ত, কালিম্পংয়ের কোলাহল থেকে যাঁরা সরে আসতে চান একটু নিরিবিলিতে, তাঁদের জন্য সাংসের (sangser)। ডেলো পাহাড়ের পাশ দিয়ে পাহাড়ি কোল…

sangser

দৈনন্দিন একঘেয়েমি কর্ম জীবনে যাঁরা ক্লান্ত, কালিম্পংয়ের কোলাহল থেকে যাঁরা সরে আসতে চান একটু নিরিবিলিতে, তাঁদের জন্য সাংসের (sangser)। ডেলো পাহাড়ের পাশ দিয়ে পাহাড়ি কোল ছুঁয়ে নীচে নেমে গেছে এক অপূর্ব ঢালু রাস্তা। সেখানেই চোখে পড়বে নির্জন, নির্মল, সুন্দর গ্রাম। যার একদিকে সুন্দরী তিস্তার আনমনে বয়ে যায়, আর অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে যেন হাত দিয়ে ছুঁয়ে ফেলা যায় এই সাংসেরে।

কী কী দেখবেন:

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400
  • দিয়লো ও দুরপিনদারা পাহাড়ের গায়ে বা মাঝখানের ছবির চেয়েও সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, মনোরম এই সাংসের গ্রাম। বাঁ দিকে মেল্লি, রংপো, সিংটাম হয়ে গ্যাংটক আর ডান দিকে মহানন্দা অভয়ারণ্য, সেবক, কালিঝোরা হয়ে তিস্তা বাজার ছাড়িয়ে একটু এগিয়ে ঝোলনা ব্রিজ। ব্রিজ থেকে ১৪ কিমি দূরে কালিম্পং।
  • কালিম্পং থেকে শুরু হল চড়াই। যেতে যেতে বোঝা যায় ওই পাহাড়ি পথ কখনও উঁচু গাছের মাথা ছুঁয়েছে, আবার কখনও চলেছে আকাশের মাথা ছোঁয়া গাছের পায়ের কাছ দিয়ে। অনেকটা নীচ দিয়ে রূপোলি ছবির মতো ভেসে আসছে তিস্তার রূপ-রস-গন্ধ। চারিদিকে যেন এক শব্দহীন নিঝুম জগৎ। রাস্তার দু’ধারে শুধু বুনো ফার্ণ, লিলি, আমলকি, বহেরা, রুদ্রাক্ষ। আর এখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে আদা-এলাচের ঝোপ। ভাগ্য সঙ্গে থাকলে কখনও এই জঙ্গলের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় ময়ূরের চলে যাওয়া।
  • এই পাহাড়ি গ্রামের পায়ের কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। মন চাইলে সঙ্গে সঙ্গে হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারবেন তিস্তার জলের সংস্পর্শে। এই জায়গার একটি সুন্দর নাম আছে যা তারখোলা নামে পরিচিত। এই স্থান থেকে সামান্য দূরত্বে সহজেই টই টই করে আসা যায় সড়কপথে সিকিম-বাংলার চেকপোস্ট রংপো।
  • সাংসেরের এদিকটায় অবস্থিত আছে দার্জিলিং শহর, মাঝে সিকিমের তারেভিড়, নামচি, রাবাংলা, নামথাং। ডানদিকে মাথা উঁচু করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৭ টি পিক। আর একটু নীচে অবস্থিত নাথুলা রেঞ্জ। এখানে পৌঁছে শুধু বিশ্রামের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মনের খোরাকের খোঁজ মেলে। হৃদয়ের এই এক টুকরো আনন্দ যেন শহুরে হট্টগোলকে আনয়াসে দূরে ঠেলে দেয়।

ভিউপয়েন্ট
সাংসেরের ঐতিহ্যবাহী ভিউ পয়েন্টে বসার জন্য এই গ্রামেরই কোনও মৃত ব্যক্তির পরিবার তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে এখানে তৈরি করে দিয়েছেন সুন্দর এক জায়গা। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এই বসবার জায়গায় সবকিছু ভুলে, কাজের চাপকে দূরে ঠেলে যেন বহুক্ষণ বসে থাকা যায় মনোরম প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে। এখানে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সিঙ্কোনা গাছের সারি। সিঙ্কোনার সঙ্গে সঙ্গে এখানে দেখতে পাওয়া যায় এলাচ, আদা, মাড় ও কমলালেবুর বাগান।

কীভাবে যাবেন
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং চলে এসে সাংসেরে খুব সহজেই পৌঁছানো যায়। এই পাহাড়ি এলাকায় যেমন নিজস্ব গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়, তেমনি রিজার্ভ বা শেয়ার গাড়িতেও যাওয়া সম্ভব।

কোথায় থাকবেন
কে কে হোম স্টে (কাব্য-কাদম্বরী হোম স্টে)

যোগাযোগ
বিপ্লব দে – ৯৭৩৩৪৫৪৭৭৯/ ৮৯৬৭৯২৮৩৩৪
শরিফ রাই – ৮৯০৬১০৩৭০০/ ৭৯০৮৫৯৬৭৫৬