Travel: পুজোয় খুলছে Bhutan গেট, রইল ড্রাগনভূমির স্পেশ্যাল জায়গার ট্যুর গাইড

আড়াই বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলতে চলেছে ভুটানের (Bhutan) দরজা। ২০২০ সালে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভুটানের প্রবেশ পথ। তারপর কেটে গিয়েছে…

Bhutan

আড়াই বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলতে চলেছে ভুটানের (Bhutan) দরজা। ২০২০ সালে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভুটানের প্রবেশ পথ। তারপর কেটে গিয়েছে আড়াই বছর। সম্প্রতি ভুটান সরকার ঘোষণা করল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের দরজা। তাই আজ ভুটানের বিশেষ কিছু জায়গার হদিশ রইল আপনার জন্য

থিম্পু

ভুটান ভ্রমণ শুরু করা যেতে পারে রাজধানী থিম্পু থেকে। এখানেই দেশের রাজা-রাণী বাস করেন। এখান দিয়েই বয়ে গেছে আমাদের রায়ডাক নদীর একটা অংশ। অর্থাৎ রায়ডাকের ধারে অবস্থিত ভুটানের রাজধানী থিম্পু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ২,০০০ থেকে ৩,৮০০ মিটার। ছবির মতো সাজানো গোছানো এই শহর একেবারেই দূষণমুক্ত। শহর ভ্রমণ করতে চাইলে বুদ্ধ পয়েন্ট, তাশিচো জং, মেমোরিয়াল করটেন, সেন্টেনারি ফারমার মার্কেট, জাতীয় গ্রন্থাগার, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্র্যাডিশনাল মেডিক্যাল, দ্য ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, চাংগাংখা লাখান, দেচেন ফোদ্রাং, ডোচুলা, তাকিন প্রিসার্ভ, জাংটো পেরলি লাখাং ঘুরে দেখতে হবে। পারো বিমানবন্দর থেকে থিম্পুর দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে থিম্পু যেতে সময় লাগে আট ঘণ্টা।

পুনাখা জং

থিম্পুর আগে ভুটানের রাজধানী পুনাখা জং-এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও ঈর্ষণীয়। পুনাখা জং-এর অর্থ হলো সুখের রাজপ্রাসাদ। হিমালয়ের বুকে অবস্থিত এই স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ মিটার উঁচুতে। উপত্যকাটির মাঝ বরাবর বয়ে গেছে ফো চু এবং মো চু নদী। থিম্পু থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় পুনাখা পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রায় সারা বছরই এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে। এলাকায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব প্রধান। পুনাখা জং, চিমি লাখাং, জিগমে দোরজি জাতীয় উদ্যান, রিশতা গ্রাম এখানকার বিশেষ আকর্ষণ।

ফোবজিকা উপত্যকা

পারো বিমান বন্দর থেকে পাঁচ ঘণ্টা এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এগারো ঘণ্টা সময় লাগে ফোবজিকা উপত্যকায়। এই উপত্যকার চেহারা অনেকটা কালো সারসের গলার মতো। পর্যটকদের প্রিয় স্থান এটি। ভুটানের আর পাঁচটা স্থানের মধ্যে এটি একেবারে অন্যরকম। গোটা শহর ঘুরে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা। এপ্রিল এবং মে মাস হলো এই স্থান ভ্রমণের আদর্শ জায়গা।

​মাউন্ট চোমোলহারি

ভুটানে গেলে মাউন্ট চোমোলহারি শৃঙ্গ চোখে আসবেই। স্থানীয় ভাষায় এর নাম জমলহারি শৃঙ্গ। চোমোলহারি শৃঙ্গকে বলা হয় কাঞ্চনজঙ্ঘার স্ত্রী। বৌদ্ধদের কাছে এটি একটি অতি পবিত্র স্থান। মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত পর্বতারোহীদের ভিড়ে গম গম করে মাউন্ট চোমোলহারি।

ওয়াংডি ফোডরাং

প্রায় ২৮ হাজার ফিট উঁচুতে অবস্থিত ভুটানের ওয়াংডি ফোডরাং শহর। এটি ভুটানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। অদূর ভবিষ্যতে এটি UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষিত হতে চলেছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অসাধারণ। প্রায় সারা বছরই এই স্থানে বেড়াতে যাওয়া যায়। মন্দির, গ্রাম, জাতীয় উদ্যান, উপত্যকা সব মিলিয়ে ওয়াংডু ফোডরাং শহরটি সমৃদ্ধ।

ফুন্টশোলিং

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ফুয়েনশোলিং-কে বলা হয় ভুটানের প্রবেশদ্বার। ভুটানে গিয়ে ফুন্টশোলিং না ঘুরলে জীবন বৃথা। এখানে ভারতীয় এবং ভুটানী সংস্কৃতির এক দারুণ মিশ্রণ রয়েছে এই শহরে। থিম্পু থেকে ফুন্টশোলিং-এর দূরত্ব ঘণ্টা ছয়েক। ভুটানে প্রবেশের জন্য ভারতীয়দের কোনও ভিসা লাগে না। তবে ফুয়েনশোলিং প্রবেশের সময় ভারতের পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। প্রায় সারা বছরই এখানে যাওয়া যায়। ভুটানি গেট, কারবান্দি বৌদ্ধমঠ, চুখা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, আমো চৌ, ইত্যাদি ঘুরে দেখা যায়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় ভুটানের প্রবেশদ্বার ফুন্টশোলিং।