Travel: পাখি দেখার সেরা ৬ টি ডেস্টিনেশন যেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতেই হবে

এখানে পাখির ডাকে ভাঙে ঘুম। মগডালে চলে পাখিদের (Bird) গানের জলসা। মাঝে মাঝে তারা ল্যাজ দুলিয়ে নাচ দেখিয়ে যায়। বাহারি পাখনা মেলে গাছের এ ডাল…

best-bird-watching-destinations

এখানে পাখির ডাকে ভাঙে ঘুম। মগডালে চলে পাখিদের (Bird) গানের জলসা। মাঝে মাঝে তারা ল্যাজ দুলিয়ে নাচ দেখিয়ে যায়। বাহারি পাখনা মেলে গাছের এ ডাল ও ডাল ঘুরে, কত রকম শব্দ করে আমন্ত্রণ জানায় তাদের রাজ্যে। সেই পাখিরাজ্যের ঠিকানা থাকল এবার আপনাদের জন্য। (Travel )

লাটপঞ্চার
পাহাড়ের কোলে চিরবসন্তের দেশ লাটপঞ্চার। যেখানে শালের জঙ্গলে চলে রোদ্দুরের আঁকিবুকি। পাথরে পাথরে ঘুরে বেড়ায় বাহারি প্রজাপতির দল। শান্ত, নিরিবিলি, সবুজে ঘেরা হিমালয়ের কন্দরে এই গ্রাম সংলগ্ন মহানন্দা অভয়রণ্য, কালিঝোরা ও বিরিক ফরেস্টে নানা ধরনের দুর্লভ পাখির বাস। সাঁই সাঁই আওয়াজ করে বাহারি ডানা মেলে তারা নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। যেমন তাদের রূপ, তেমনি গাল ভরা নাম- রেড হেডেড ট্রোগেন, স্কারলেট মিনিভেট, গ্রে বুশচ্যাট, ব্লু-উইংড মিনলা, ফেয়ারি ব্লু বার্ড, রাস্তি চিকড সিমিটার ইত্যাদি। পাখি ছাড়াও এখানের নামথিং পোখরি লেক, সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন এবং লাটপঞ্চার মনেস্ট্রির সৌন্দর্য পর্যটকদের আরেক আকর্ষণ। এছাড়া অহালদারা ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় এবং তিস্তার সৌন্দর্য চিরজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।  

best-bird-watching-destinations

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে এনজেপি। তার পর কালিঝোরা থেকে বাঁদিকের রাস্তা ধরে ১৩ কিমি পৌঁছে যাবেন লাটপঞ্চার। গাড়ি ভাড়া ২০০০ টাকা। গাইড: বিকাশ গুরুং (ফোন ৯৪৩৪৫২৯৫৬৬/৯৫৩১৭৪৬১৩৬)।

কোথায় থাকবেন: হামরো হোম (১৮০০১২৩৩১৫৯), ভাড়া মাথাপিছু ১৫০০ টাকা থাকা-খাওয়া সহ, পদম গুরুংজীর হোম স্টে (৯৪৭৫৯৫৯৯৭৪), ভাড়া মাথাপিছু ৯০০ টাকা থাকা-খাওয়া সমেত। ( Travel )

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

কিতাম 
চারিদিকে তুষারধবল শৃঙ্গ, বিস্তীর্ণ সবুজ উপত্যকা আর নীল আকাশে নানা রঙের সব পাখির শােভা। তারা ডাল-পাতার মাঝে লুকোচুরি খেলে মানুষের সঙ্গে, শিস দিয়ে মন ভোলায় সকলের। দক্ষিণ সিকিমের মেল্লি থেকে নামচি যাওয়ার পথে ৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে পক্ষীরাজ্য। হোয়াইট আই, ব্লু থ্রোটস বারবেট, ব্ল্যাক ড্রঙ্গো-সহ প্রায় ১১০ প্রজাতির আবাসভূমি কিতাম। এছাড়া ১৩৫ ফুট উঁচু গুরুসম্ভবের মূর্তি ও ১১০ ফুট উঁচু শিবমন্দিরে ৮৭ ফুট শিবমূর্তি সত্যি দেখার মতো। উপরি পাওনা রক গার্ডেনের মনোরম পরিবেশ।

কীভাবে যাবেন:
এনজেপি থেকে গাড়িতে মেল্লি হয়ে নামচি। দূরত্ব ১১০ কিমি। গাড়ির জন্য যোগাযোগ করুন গগোজো আউটস্টেশন ক্যাব (৯০৫১৮৭৭০০০)।

কোথায় থাকবেন: থাপা হোম স্টে (০৯৭৩৩১০৪৮২৫), ভাড়া ১,২০০ টাকা থাকা-খাওয়া সমেত, দুঙ্গমালি হেরিটেজ ভিলেজ রিসর্ট (০৯৭৩৪১২৬০৩৯), ভাড়া শুরু ২,৫০০ টাকা থেকে, মালকোয়া হোম স্টে (৯৮৩২০৫৪৩১১), ভাড়া ১,২০০ টাকা থাকা-খাওয়া সমেত। ( Travel)

চাকুং
কমলার বাহার, আকাশছোঁয়া ধুপি-পাইন আর পক্ষীদের স্বর্গরাজ্য— সব মিলিয়ে পশ্চিম সিকিমের আনকোরা ডেস্টিনেশন চাকুং নামের মতােই সুন্দর। এখানের দুরপিনদারা ভিউ পয়েন্টের শোভা চমৎকার। এছাড়া চোখ জুড়িয়ে আসবে ডালে ডালে ঘুরতে থাকা স্কারলেট, মিনিভেট, লংটেল ব্রেডবিল, প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার, ব্লু হুইসলিং থ্রাস-সহ নানান সুন্দর পাখিদের দর্শনে।

best-bird-watching-destinations

কীভাবে যাবেন:
এনজেপি থেকে জোড়াথাং। সেখান থেকে ১৩ কিমি গেলেই চাকুং। গাড়ির জন্য যোগাযোগ করুন ৯৮০০২৯৪৯৫০।

কোথায় থাকবেন: কাজি হোম স্টে (০৮৩৪৮৩৬২৬১৬), এখানে একটাই থাকার জায়গা। ভাড়া রুম-প্রতি ১,৫০০ টাকা (তিনজন থাকা যায়)। খাওয়া মাথাপিছু ৬০০ টাকা।

পদমচেন
পাখিদের মেলা বসে পদমচেনে। গাছের ডালে বসে লাফিং গ্রাশ, ফুলভেট্টা, হানি। বাজারড, স্টেপিরা ল্যাজ দুলিয়ে গান করে। সেই গান যদি শুনতে চান তাহলে ছুটি নিয়ে ঢু মেরে আসুন পদমচেন। তবে মার্চ থেকে জুন এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়টা পদমচেনে পাখি দেখতে যাওয়ার সেরা সময়। তবে শুধু পাখি নয়, পদমচেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। এখানে থাম্বি পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তেরর দৃশ্য মনরোম বললেও ভুল হবে। এছাড়া আধ ঘন্টার দূরত্বে রয়েছে জুলুক।

কীভাবে যাবেন: এনজেপি থেকে পদমচেন প্যাঙ্গোলাখা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি। দূরত্ব ১৩৮ কিমি। গাড়ির জন্য যোগাযোগ করুন শাহ ট্যুর (০৯৮০০০৬০০০৭)।

কোথায় থাকবেন: মেরিগোল্ড হোম স্টে (০৭০৪৭৭৭৯২৭২), ভাড়া মাথাপিছু ১০০০ টাকা থাকা-খাওয়া সমেত, সোনম ইন (৯৮৩১৯০৫৬৬৪ ৮০১৭৮২৩৭২৪), ভাড়া মাথাপিছু ১,৫০০ টাকা থাকা-খাওয়া সমেত।

রিকিসুম

সমতল থেকে প্রায় ৬,৩০০ ফুট উঁচুতে রিকিসুম। প্রায় ২ কিমি অঞ্চল জুড়ে এখানে রয়েছে পাইন আর ধুপির জঙ্গলপথ। যা নাম জানা-অজানা হরেক পাখির ঠিকানা। পাখি প্রেমীদের কাছে রিকিসুম নিঃসন্দেহে আদর্শ জায়গা। তাছাড়া পাহাড়ের মাঝে নিরিবিলি থাকার সেরা ঠিকানা। সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব শোভা, এলাচখেত আর ভুতুড়ে বাংলো— সব মিলিয়ে রিকিসুম ফুল প্যাকেজ অফ হরর বিউটি।

কীভাবে যাবেন: কালিম্পং-আলগড়ার কাছেই রিকিসুম। এনজেপি থেকে সোজা গাড়িতে যাওয়া যায়। দূরত্ব ৮৮ কিমি। গাড়ির জন্য যোগাযোগ করুন জয়ন্তী ট্রাভেল (৯১৯৪৩৪০৭৬৮২১)।
কোথায় থাকবেন: স্বর্ণশিখর হোম স্টে (৯৪৩৪০৭২৫৫২), থাকা-খাওয়া সমেত মাথাপিছু ১,৫০০ টাকা, হামরো হোম (১৮০০১২৩৩৭৫৯), ভাড়া ডবল বেড ২, ১০০ টাকা দু’বেলা খাওয়া-সহ।

সৌরিণী

উঁচু-নীচু পাহাড়ের ঢাল, সেই পাহাড়ের ঢালে চায়ের বাগান। ৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় বুক চিতিয়ে শুয়ে সুমেন্দু হ্রদ। সারি সারি পাইনের ছায়া এসে পড়ে লেকের টলটলে জলে আর ব্র্যাকগ্রাউন্ডে চলে পাখিদের কুজন। পাইনের এই বনে কালেজ ফ্লেজ্যান্ট থেকে গ্রে ট্রি পাই, রুফ্লারস সিভিয়া প্রায় সব পাখির দেখা মিলবে। আসলে সৌরিণীতে রয়েছে অর্গানিক ফার্ম, সে কারণে একে পাখিদের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। তবে পাখির বাহার ছাড়াও সৌরিণীর আশপাশে রয়েছে মিনিক গুম্ফা, টিংলিং ভিউ পয়েন্ট, টিবেটান গুম্ফা।
কীভাবে যাবেন: মিরিক থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে সৌরিণী।

কোথায় থাকবেন: সৌরিণী টি স্টেট রুম (৮৫৮৪৮৪৮৫৫৪), রেন্ট শুরু ৫,৫৯৬ টাকা থেকে। রাজ্যেশ্বরী হোম স্টে (০৯৯৩২৩১৭২৯৯), ভাড়া ১,২০০ টাকা।