Tag Archives: ESI

জুলাইয়ে ESI স্কিমে নতুন ২০.৩৬ লাখ কর্মী অন্তর্ভুক্ত

মধ্য সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত প্রকাশিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক পেরোল ডেটা অনুযায়ী, জুলাই মাসে ২০.৩৬ লাখ নতুন কর্মী Employees’ State Insurance Corporation (ESIC) বা কর্মচারী রাষ্ট্রবিমা সংস্থার (ESI) আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এটি ভারতের শ্রমিক সমাজে সামাজিক সুরক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক।

একই সময়ে, ৩১,১৪৬টি নতুন প্রতিষ্ঠান ESI স্কিমে নিবন্ধিত হয়েছে, যা আরও বেশি সংখ্যক কর্মীকে সামাজিক সুরক্ষা ও নিয়োগকর্তা সংক্রান্ত সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছে। ESIC-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ডেটা প্রাথমিক এবং আপডেট প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, তবে তথ্যটি ইতিবাচকভাবে দেখাচ্ছে যে, দেশজুড়ে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি হচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, নতুন যোগ হওয়া কর্মীদের মধ্যে যুবক-যুবতীর সংখ্যা অনেক বেশি। মোট ২০.৩৬ লাখ নতুন কর্মীর মধ্যে প্রায় ৯.৮৫ লাখ (৪৮.৩৭ শতাংশ) ২৫ বছরের নিচে। এটি নির্দেশ করছে যে, যুব সমাজের মধ্যে আনুষ্ঠানিক খাতে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। বিশেষত, এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত, কারণ যুব শ্রমশক্তি দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

লিঙ্গভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিতেও ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। জুলাই মাসে ৪.৩৩ লাখ নারী কর্মী ESIC-এর আওতায় এসেছে, যা মোট নিবন্ধনের ২১ শতাংশেরও বেশি। এছাড়া ৮৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের কর্মী ESIC-এ নতুনভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন। এই তথ্য প্রমাণ করে যে, ESIC সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ককে আরও সমন্বিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য কাজ করছে।

ESI স্কিম বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে, যেমন: চিকিৎসা সেবা, অসুস্থতা সুবিধা, গর্ভধারণকালীন সুবিধা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আঘাত বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নগদ সুবিধা।
এই সুবিধা মূলত ১০ বা তার বেশি কর্মী থাকা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রযোজ্য। ESIC-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি ও কর্মীদের আনুষ্ঠানিক খাতে অন্তর্ভুক্তি দেশের শ্রমনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই মাসের এই ডেটা দেখাচ্ছে যে, একই মাসে ২০ লাখেরও বেশি নতুন কর্মী ESIC-এ যুক্ত হওয়া ভারতের আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির শক্তিশালী সংকেত বহন করছে। এটি দেশের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা জাল আরও শক্তিশালী করছে এবং যুব ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলেছে।

সমগ্র ডেটা ও প্রবণতা প্রমাণ করছে যে, ভারতীয় অর্থনীতি আনুষ্ঠানিক খাতে দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, যেখানে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কর্মীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে। ESIC-এর এই সম্প্রসারণ কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশের সামাজিক নিরাপত্তা জালকে আরও শক্তিশালী করবে।


❓ FAQs

Q1. ESIC কী?
👉 Employees’ State Insurance Corporation (ESIC) হলো একটি সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা, যা কর্মচারীদের চিকিৎসা, অসুস্থতা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও কর্মস্থল দুর্ঘটনার আর্থিক সহায়তা দেয়।

Q2. জুলাই ২০২৫-এ কতজন নতুন কর্মী ESIC-এ যুক্ত হয়েছেন?
👉 মোট ২০.৩৬ লাখ নতুন কর্মী যুক্ত হয়েছেন।

Q3. নতুন যুক্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে কতজন যুবক-যুবতী?
👉 প্রায় ৯.৮৫ লাখ (৪৮.৩৭%) কর্মী ২৫ বছরের নিচে।

Q4. নারী কর্মীদের অন্তর্ভুক্তি কেমন হয়েছে?
👉 জুলাই মাসে ৪.৩৩ লাখ নারী কর্মী ESIC-এ নিবন্ধিত হয়েছেন, যা মোট নিবন্ধনের ২১%।

Q5. তৃতীয় লিঙ্গের কর্মীও কি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?
👉 হ্যাঁ, ৮৮ জন তৃতীয় লিঙ্গ কর্মী নতুনভাবে ESIC-এ যুক্ত হয়েছেন।

Q6. ESIC-এ কতটি নতুন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে জুলাই ২০২৫-এ?
👉 মোট ৩১,১৪৬টি নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।

Q7. ESI স্কিমে কী কী সুবিধা দেওয়া হয়?
👉 চিকিৎসা সেবা, অসুস্থতা সুবিধা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আঘাত বা দুর্ঘটনায় নগদ সহায়তা।

Q8. কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ESI স্কিম প্রযোজ্য?
👉 সাধারণত ১০ বা তার বেশি কর্মী থাকা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য।

Q9. এই প্রবণতা ভারতের অর্থনীতির জন্য কী নির্দেশ করছে?
👉 আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান বাড়ছে, যুব ও মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা জাল আরও শক্তিশালী হচ্ছে।


🔑 ESIC enrolment 2025, ESI scheme benefits India, July 2025 payroll data, youth employment ESIC, women workers ESIC

ESI Scheme: কর্মীদের জন্য ইএসআই সুবিধা বৃদ্ধি

নয়াদিল্লি: অনেক সময় দেখা যায় বেতন বৃদ্ধির কারণে প্রথমে কর্মী রাজ্য বিমা (ESI) প্রকল্পের আওতায় থাকলে পরে সেই প্রকল্পের বাইরে চলে যান অনেকে। এবার কর্মীদের জন্য এই প্রকল্পের সুবিধের আওতা কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। তার ফলে অবসরপ্রাপ্ত এমন কর্মীদের চিকিৎসার সুবিধা দিতে শর্ত শিথিল করে বিশেষ ব্যবস্থা চালু করল ইএসআই কর্তৃপক্ষ। শনিবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সভাপতিত্বে ই এস আই পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে যারা ২০১২ সালের ১ এপ্রিলের পর কমপক্ষে পাঁচ বছর ইএসআই প্রকল্পের আওতায় থেকে ২০১৭ সালে ১ এপ্রিল অথবা তারও পরে অবসর নিয়েছেন অথবা স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন এবং যাদের মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকার মধ্যে তারাই নতুন ব্যবস্থার সুবিধে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বর্তমান নিয়মে যেসব কর্মীর মাসিক বেতন ২১,০০০ টাকা মধ্যে তারাই ইএসআই প্রকল্পের আওতায় থাকত। বেতন বেড়ে গেলে এই প্রকল্পের আওতার বাইরে চলে যেতে হতো।

ইএসআই প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মীরা কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনা আহত হয়ে অঙ্গহানি অথবা মৃত্যু হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন। তার পাশাপাশি এই প্রকল্পে থাকা কর্মীরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন।