মারাদোনা থেকে মেসি, স্ট্যামিনার বিপক্ষে স্কিলের লড়াই চলছে আজও

১৯৮৬’র সেই মেক্সিকো বিশ্বকাপের পর ২০২২। সেবার প্রতিপক্ষ জার্মানি, এবার ফ্রান্স। লড়াইটা সেদিনও ছিল স্ট্যামিনার বিপক্ষে স্কিলের, আজও তা একই রকম বলা যায়। ছিল ৯০’র…

messi

১৯৮৬’র সেই মেক্সিকো বিশ্বকাপের পর ২০২২। সেবার প্রতিপক্ষ জার্মানি, এবার ফ্রান্স। লড়াইটা সেদিনও ছিল স্ট্যামিনার বিপক্ষে স্কিলের, আজও তা একই রকম বলা যায়। ছিল ৯০’র দশকের সেই অপ্রতিরোধ্য দিয়েগো মারাদোনা, আর আজ একবিংশ শতকের শিল্পী ফুটবলার লিওনেল মেসি।

৮৬’র সেই গাঁট্টাগোট্টা শরীরের জাদুকরের মুগ্ধতার একটা রেশ রেখে ক্যানভাসের তুলিতে আঁকা আরেক শিল্পীর সমস্ত সৃষ্টি যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। গত প্রজন্মের কাছে মারাদোনা আর মেসিকে এই যুগের ভগবান। তখন মারাদোনা মানেই খবর। আর আজ বাস্তবিকই সেই জায়গায় লিওনেল মেসি। এই একটি খেলোয়াড়ের জীবন নিয়ে সারা পৃথিবী তোলপাড়। হবে নাই বা কেন…। সমর্থক নানান দেশ বা বিরোধী দলের হলেও, এই একজনকে সম্ভ্রম না করে কি থাকা যায়…।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

মেসি মানেই ম্যাজিক। আসলে, নিজেদের অবস্থানের নিরিখে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে আমরা কিছুটা পরিচিত। তাই ভারতীয়রা ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর ফুটবল ভক্ত হয়ে পরে অচিরেই। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসহায়তা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে আমাদের মতো দেশগুলিতে দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের মতো ঈশ্বররূপী মানুষের প্রয়োজন হয়।

আর মানুষরূপী, মারাত্মক ভাবে দক্ষ কোনও ব্যক্তি অচিরেই হয়ে ওঠেন আর্ত মানুষদের “মাসিহা”। ঝড়ের বেগ দিয়ে গতির ফুটবলের পাশে শিল্প বা ধ্রুপদী ফুটবলের বৃত্তের পরিধি ইউরোপীয় প্রভাবে যতই ছোট হয়ে আসছে, ততই দরিদ্র ও উন্নতশীল দেশের ফুটবলপ্রেমীদের চোখ খুঁজে বেড়ায় এই মাসিহাদের, যাঁরা রোজরোজ জন্মান না, নিত্য দেখা দেন না।

হ্যালির ধূমকেতু যেমন ৭৬ বছর পর পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসে, তেমনই ১৯৮৬’র পর ৩৬ বছর অতিক্রম করে ২০২২’র শেষে দেখা দিলেন আপামর পৃথিবীর ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ মানুষ লিওনেল মেসি। ফুটবল প্রেমীদের “মা..সি..হা…”। ১১টা ছেলের মধ্যে একটা ছেলে যখন বিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে জন্মায়, তখনই একটা মারাদোনা বা মেসির আবির্ভাব হয়। এঁদের দেশ হয়ত একটা, কিন্তু ভক্ত সারা পৃথিবীব্যাপী।