শেষ মরসুমে দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। প্রথম ম্যাচে সেবার জয় না আসলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অতি সহজেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী এফসি গোয়াকে। তারপর টুর্নামেন্টের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে এসেছিল প্রথম জয়। সেই নিয়ে কার্যত খুশির আবহ দেখা দিয়েছিল সাদা-কালো সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু সেই ছন্দ বজায় ছিল না বেশিদিন। পরের ম্যাচেই জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল দলকে। আটকে যেতে হয়েছিল পড়শী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। তারপর থেকে একের পর এক ম্যাচ খেলে ও জয়ের সরণিতে ফেরা সহজ ছিল না।
যারফলে অনেকটাই পিছিয়ে যেতে শুরু করেছিল এই ফুটবল দল। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। শেষ পর্যন্ত অনবদ্য পারফরম্যান্স করে ও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থেকেই নিজেদের অভিযান শেষ করেছিল রেড রোডের এই ক্লাব। তাঁর পাশাপাশি দেখা দিয়েছিল ক্লাবের নানা বিধ সমস্যা। সেই সমস্ত কিছু ভুলে কলিঙ্গ সুপার কাপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম ম্যাচে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। যারফলে খালি হাতেই গত মরসুম শেষ করেছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা।
এবারের এই সিজনে দল গঠনের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও দেখা দিয়েছিল একাধিক সমস্যা। যারফলে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে অংশ নেওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের বকেয়া মেটানোর বিষয় গুলি ও উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্যাপকভাবে। তবে সময়ের সাথে সাথেই বদলাতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফিফার ট্রান্সফার ব্যান এড়ানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে ময়দানের এই প্রধান। ইতিমধ্যেই নাকি পাঁচজন ফুটবলারের প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
জানা গিয়েছে, এখনও আরও চারজন ফুটবলারের পাওনা অর্থ মেটানোর প্রয়োজন। সেই নিয়ে বর্তমানে যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাব। মনে করা হচ্ছে, সেই সমস্যা গুলি মিটে গেলে নয়া ফুটবলার দলে টানার ক্ষেত্রে আর কোনও বাঁধা থাকবে না সাদা-কালো ব্রিগেডের।


