কিছু ঘন্টা বাকি। তারপরেই আজ সন্ধ্যায় গোয়ার বুকে আয়োজিত হতে চলেছে সুপার কাপ ফাইনাল। যেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের ফুটবলপ্রেমী জনতার। এবারের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দল। নিজেদের ঘরের স্টেডিয়ামে তাঁরা যে কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে সেটা ভালো মতোই জানেন সকলে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই দলকে তৈরি থাকার নির্দেশ হয়তো দেবেন অস্কার ব্রুজো। গত ম্যাচে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসিকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল।
অন্যদিকে, পেট্র ক্র্যাটকির বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছিল এফসি গোয়া। ইকের গ্যারেক্সোনা না থাকলেও বাজিমাত করেছিলেন ব্রাইসন ফার্নান্দেজ থেকে শুরু করে ডেভিড টিমোররা। গতবার কলিঙ্গের বুকে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসিকে টেক্কা দিয়ে এই খেতাব ঘরে তুলেছিল গোয়া শিবির। এবার নিজেদের শহরে ও সেই খেতাব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ থাকবে তাঁদের দলের ফুটবলারদের কাছে। সেক্ষেত্রে আজ ও কোচের ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারেন বোরহা হেরেরা থেকে শুরু করে জাভিয়ের সিভেরিও টোরোরা। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অস্কার ব্রুজোকে ডাগ আউটে পাবে না ইস্টবেঙ্গল।
যেটা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা মশাল ব্রিগেডের কাছে। এছাড়াও সকলকে চিন্তায় রাখছে দলের আক্রমণভাগ। জাপানি তারকা হিরোশি ইবুসুকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোচের ভরসাযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। গত সেমিফাইনাল ম্যাচে প্রথম থেকেই খেলেছিলেন এই দাপুটে ফরোয়ার্ড। গোলের সুযোগ ও পেয়েছিলেন একাধিকবার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং শেষ পর্যন্ত একের পর এক সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে সমর্থকদের হতাশ করেছিলেন তিনি। যারফলে এবারের এই ফাইনাল ম্যাচে ও তাঁকে নিয়ে সংশয় থাকবে সকলের। এছাড়াও এবার দলে এসেছেন মরোক্কান তারকা হামিদ আহদাদ।
এবারের এই ডুরান্ড কাপে ভালো পারফরম্যান্স থাকলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন হামিদ। যারফলে পরবর্তীতে সাইড লাইনেই দেখা গিয়েছিল এই ফুটবলারকে। এমনকি তিনি খেলতে পারেননি গত পাঞ্জাব ম্যাচে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আদৌও তিনি ফাইনাল খেলবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি স্কোয়াডে থাকলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
