জাতীয় শিবিরে ডাক পেয়েছেন লাল-হলুদের একাধিক ফুটবলার, খুশি অস্কার

oscar-bruzon-east-bengal-fc-national-team-players

এই মরসুমের শুরু থেকেই যথেষ্ট দৃষ্টি নন্দন ফুটবল খেলে আসছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দল। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর শিল্ড জয়ের লক্ষ্য ছিল ময়দানের এই প্রধানের। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। গত মাসের মাঝামাঝি সময় ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। যেটা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকল সমর্থকদের কাছে। সেই হতাশা কাটিয়ে এবার সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট তথা সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর ময়দানের এই প্রধান। সেইমতো বহু আগে থেকেই খেলোয়াড়দের তৈরি করেছিলেন কোচ।

Advertisements

বলাবাহুল্য, তাঁর তত্ত্বাবধানে টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ক্লিফোর্ড মিরান্ডার শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসিকে পরাজিত করার পর শক্তিশালী মোহনবাগান দলকে ও আটকে দিয়েছিল সৌভিক চক্রবর্তীরা। যারফলে শেষ পর্যন্ত গোল পার্থক্যের ভিত্তিতে সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর সেই ম্যাচেই খেলতে নামবে লাল-হলুদ শিবির। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসি। কিন্তু তাঁর আগেই রয়েছে জাতীয় দলের ম্যাচ।

   

আগামী ১৮ই নভেম্বর প্রতিবেশী দেশ তথা বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচে নামবে খালিদ জামিলের ছেলেরা। সেইমতো গত কয়েক সপ্তাহ আগেই তেইশ জন ফুটবলারদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে। তাঁদের নিয়েই বেঙ্গালুরুর বুকে চলছে প্রস্তুতি শিবির। যেখানে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দল থেকে ডাক পেয়েছেন মোট চারজন খেলোয়াড়। যাদের মধ্যে রয়েছেন এডমুন্ড লালরিন্ডিকা, আনোয়ার আলি, নাওরেম মহেশ সিং এবং জয় গুপ্তা। এছাড়াও রয়েছেন যুব দলের দুই ফুটবলার।

Advertisements

একসাথে দলের একাধিক ফুটবলারদের সুযোগ পাওয়া নিঃসন্দেহে বিরাট বড় পাওনা সকলের কাছেই। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন অস্কার ব্রুজো। তিনি বলেন, ‘ ক্লাবের সাথে জড়িত সকলের জন্য এটি অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। আমাদের চারজন খেলোয়াড়কে সিনিয়র ভারতীয় জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের মধ্যে নির্বাচিত হতে দেখা তাদের নিষ্ঠা এবং আমরা যে উচ্চ মান বজায় রেখেছি তার সত্যিকারের প্রতিফলন। তাছাড়া, ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ সম্ভাব্য দলে দুজনের ডাক এই সত্যকে প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায়। এটি প্রতিটি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) খেলোয়াড়কে একই উচ্চতায় এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’