East Bengal Club : সমর্থকদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন কর্তারা

বিগত কয়েক বছর ধরে যা হচ্ছে এবং যা হচ্ছে সেটা এক কথায় ভাবনার অতীত। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের ক্লাব। সেখানে সমর্থকদের আবেগকেই কার্যত উপেক্ষা করছেন…

East Bengal Club recent drama

বিগত কয়েক বছর ধরে যা হচ্ছে এবং যা হচ্ছে সেটা এক কথায় ভাবনার অতীত। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের ক্লাব। সেখানে সমর্থকদের আবেগকেই কার্যত উপেক্ষা করছেন কর্তারা।

কলকাতা ফুটবল মানেই আবেগ। বিশেষ করে ময়দানের তিন প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে কেন্দ্র করে। মোহনবাগান ও মহামেডান স্পোর্টিং নিজেদের মতো উপায় খুঁজে নিয়ে নিয়মিত দল নামিয়েছে মাঠে। ফলাফলও উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল? হ্যাঁ, প্রতি মরসুমেই দল মাঠে নেমেছে। মাঠে খেলোয়াড়রা দৌড়াদৌড়ি করেছেন, এরপরের ঘটনা যে কোনো থ্রিলারকে হার মানাতে পারে।

   

কোয়েস ও শ্রী সিমেন্টের আমলে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখে ক্লাব সমর্থকদের একাংশ বলেছিলেন, এর থেকে ভালো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ না খেলা। কারণ, ইস্টবেঙ্গল বহু সংগ্রাম করে উঠে আসা একটি দল। জাতীয় স্তরে প্রিয় ক্লাব হাসির খোরাক হোক সেটা কোনো সমর্থক কিংবা ফুটবল প্রেমী চাইবেন না। কিছু দিন আগে ক্লাবে খেলে যাওয়া কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলার তাঁবুতে চিঠি দিয়ে এই একই অনুরোধ করেছিলেন।

আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল হয়তো বিনিয়োগকারী পেয়ে যাবে। তর্কের খাতিরে ইমামির কোথাও যদি ধরে নেওয়া যায়, তাহলেও দল ভালো ফল করবে সেই নিশ্চয়তা কোথায়? কলকাতা ফুটবল লিগ খেলার মতো রসদও হয়তো এখন ক্লাবের কাছে নেই। সেখানে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ! শেষ বেলায় তড়িঘড়ি দল গড়ার ফল কী হতে পারে সেটা লাল হলুদ কর্তা, সমর্থক প্রত্যেকেই জানেন। গতবারের মরসুম তাঁরা ভুলতে চাইলেও হয়তো পারবেন না। দেশ স্বাধীন হওয়ার ইতিহাসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের নাম জড়িয়ে। সেখানে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের এই হাল সভ্য হতাশা ছাড়া আর কী-বা দিচ্ছে এখন।