এএফসি (AFC Cup) ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে কুয়ালালামপুর সিটি এফসির কাছে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছে ATK মোহনবাগান। টুর্নামেন্টের ফাইনালে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল হুয়ান ফেরান্দোর ব্রিগেডের কাছে।কিন্তু দুর্বল রক্ষণ আর স্কোরার অর্থাৎ গোল করার লোকের অভাবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের হোম গ্রাউন্ড থেকে হোম অ্যাডভান্টেজ তুলতেই পারলো না ফ্লোরেন্টিন পোগবার সবুজ মেরুন শিবির।
১৩৩ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ক্লাব মোহনবাগান এবং সংযুক্তিকরণের পর ATK মোহনবাগানের ঝুলিতে এশিয়ান পর্যায়ে ট্রফিলেস। ১৯৯৫ সালে থাই ফার্মার্স দল ৪-০ গোলে হারায় মোহনবাগানকে। ২০১৬ সালে ট্যাম্পাইন রোভার্সের কাছে ২-১ গোলে হারের মুখ দেখে গঙ্গা পাড়ের ক্লাব। ২০২১ সালে এফসি নাসাফের কাছে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারের মুখোমুখি হতে হয় ATK মোহনবাগানকে। সব মিলিয়ে AFC স্তরের নকআউট ম্যাচ জিততে পারেনি মেরিনার্স ক্যাম্প।
সবুজ মেরুন সমর্থকরা বুধবার কুয়ালালামপুরের দলের বিরুদ্ধে পারফরর্মেন্সের জেরে বলতে শুরু করেছে প্রবীর দাস আর সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে ছাড়াটা বড় ভুল ATK মোহনবাগানের কাছে। আবার বাগান সমর্থকদের মধ্যে একাংশের দাবি, হেডকোচ হুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে সঞ্জয় সেনকে হেডকোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হোক। তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, এদিনের ম্যাচের ফলাফলের জেরে আগামীকাল ATK মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট জরুরি বৈঠক ডেকেছে এবং ওই বৈঠকে হোসে রামিরেজ ব্যারেটো এবং মোহনবাগানের আইলীগ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন থাকবেন।
তবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যেভাবে কুয়ালালামপুর সিটি এফসি সবুজ মেরুন শিবিরের মুখের থেকে ছো-মেরে ম্যাচ নিয়ে বেরিয়ে গেল সম্পূর্ণ প্রতিকূল স্রোতে সাঁতার কেটে অর্থাৎ দর্শক সমর্থন পুরোটাই ছিল প্রিয় দলের প্রতি এমন আবহে ম্যাচ বের করাটাই কঠিন।আর ওই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়ে দিলো কুয়ালালামপুর সিটি এফসির ক্রোয়েশিয়ান কোচ বোজান হোডাচের ছেলেরা।