UP Election 2022 : সমাজবাদীদের হামলায় লোপ পেতে পারে বিজেপির রাম রাজত্ব

একটু হাসুন কারণ আপনি লখনউতে এসেছেন! হাসিয়ে জনাব কিঁউ কে আপ লখনউ মে আয়ে হ্যায়। নবাবিয়ানার শহরে এমন কথা আকছার শোনা যায়। রাজনীতিতেও। সেই ওয়াজেদ…

UP Election 2022

একটু হাসুন কারণ আপনি লখনউতে এসেছেন! হাসিয়ে জনাব কিঁউ কে আপ লখনউ মে আয়ে হ্যায়। নবাবিয়ানার শহরে এমন কথা আকছার শোনা যায়। রাজনীতিতেও। সেই ওয়াজেদ আলি শাহর জমানা থেকে মোদী-শাহ জমানাতেও শোনা যাচ্ছে। যোগীপক্ষ ত্যাগীদের ভিড়ে দমবন্ধ অবস্থা সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিং যাদবের। সব হিন্দুত্ববাদী  ভাজপা ভোটের আগে সমাজবাদী হচ্ছেন! রাজনীতির হাস্যরসের শরাব ছলকে উঠছে লখনউয়ি মসনদ ঘিরে। ভোট এসেছে (UP Election 2022)।

শাহী কুর্সিতে বসার দৌড়ে আপাতত সর্বাগ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং সমাজবাদী পার্টি (SP)। উত্তর প্রদেশকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছিল ভারতীয় জনতা। রেসিডেন্সির দেওয়ালের মতো পোক্ত চারিধারের প্রাচীর। সমাজবাদীদের ভিড়ে আঁচড় পড়েছে দেওয়ালে। বিদ্রোহী নেতাদের হামলায় লখনই থেকে বিপদের গন্ধ গিয়ে পৌঁছেছে সেই দিল্লিতে। একা যোগীকে লড়াই চালাতে হবে অবশিষ্ট সেনানীদের সামনে রেখে৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

আত্মবিশ্বাসী যোগী কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্য সেনাপতি হিসেবে কতটা বুদ্ধিধর, সেই পরীক্ষাও হয়ে যাবে আসন্ন নির্বাচনে৷ পুরনো চালে ভাত বাড়ে প্রবচনে আস্থা রেখেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু লখনউয়ি বিরিয়ানির খুশবু চাপা দিতে পারে পুরনো চালের সোঁদা-বুনো গন্ধ।

২০২২ সালেও যদু বংশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল বিজেপি। যাদবদের গুরুত্ব না দিয়ে ওবিসি-সহ সমাজের তথাকথিত মানুষদের পদ্ম-কাননে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রচনা করেছিলেন মোদী-শাহরা। গতবারের নির্বাচনে ছিল অনুরূপ পরিকল্পনা। এবার অখিলেশ যাদবও নিয়েছেন এই একই পন্থা। স্বামী প্রসাদ মৌর্যর ইস্তফা হতে পারে আসন্ন নির্বাচনের অন্যতম অনুঘটক। তাঁকে সামনে রেখে গতবার যদু বংশধরদের অংক থেকে বাদ দিয়েছিল বিজেপি। তিনিই এবার বিদ্রোহী। মৌর্য শুধু একা নন। দল-বল নিয়ে তিনি ছেড়েছেন দল। শোনা যাচ্ছে, মোট জন বিধায়ক আলবিদা বলতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

একে যাদব সঙ্গে মৌর্য। অতি গাজনে তাঁতি নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল ছেড়ে নেতা-নেত্রীরা দলে দলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেনা সমারোহে নবান্ন দখলের ছক কষা হয়েছিল মেপে মেপে। তবুও হল না। উচ্চকোটির অংক কষতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছিল ছোটো ছোটো গণিতে। সেই ভুলের ওপর তোলা হয়েছিল গেরুয়া ইমারত।

ভোট শেষে ক্রমে খালি হয়ে যাচ্ছে সূর্য সেন স্ট্রিটের ঘরটা। খিদিরপুরের রেসকোর্স ছেড়ে গঙ্গার ধারকেই ফের বেছে নিয়েছেন অনেকে। সীমিত ভূ-খণ্ডে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ পড়তে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। অখিলেশেরও এখনও এই দশা। অল্প সময়ে হঠাৎই ভরে উঠতে শুরু করেছে তাঁর কোষাগার। রথি-মহারথিদের ভিড় জমছে দারওয়াজার সামনে৷ তরুণ-যাদবের ঘোড়ার চাল এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কে বলতে পারেন, আড়ালে কেউ  উল্টে দেখছে না হঠ যোগের পাতা।