অ-বিজেপিদের মতোই ‘গুজরাট ফাইলস’ সিনেমার দাবি তথাগতর

পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে। বিজেপি নিজেদের প্রচার করতে ওই ছবি ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।…

Tathagata Roy

পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে। বিজেপি নিজেদের প্রচার করতে ওই ছবি ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ফাইলসের পালটা গুজরাট ফাইলস বা গোধরা ফাইলসের মতো সিনেমা করার দাবি করেছে অবিজেপি দলগুলি। সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের গলায়। অবিজেপি দলগুলির মতো গুজরাট ফাইলস ছবি তৈরির পক্ষে সওয়াল করলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

তিন দশকের বেশি সময় আগে কাশ্মীরের মাটি থেকে পণ্ডিতদের উৎখাত করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে গণহত্যা চালানো হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে। সেই তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি তৈরি করেছেন। সেখানে পণ্ডিতদের উপরে হওয়া নির্যাতন এবং তা নিয়ে বামপন্থী বা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন অবস্থান দেখানো হয়েছে। যা অবিজেপি দলগুলির মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএজপির পক্ষ থেকে ওই ছবির প্রচার চালানোর কারণে বিষয়টি নিয়ে জোরাল বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিজেপির প্রচারের পালটা বাম এবং অবিজেপি দলগুলি গুজরাতের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে ছবি নির্মাণের পক্ষে সওয়াল করেছে। ২০০২ সালে গোধরার মাটিতে হওয়া হিংসা ক্রমে সমগ্র গুজরাটে ছড়িয়ে পরে। বহু মানুষের প্রাণ যায়। অনেক সম্পত্তির ধ্বংস হয়। সেই সময়ে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ঘটনার জন্য তাঁকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। মূলত সেই কারণেই গোধরা বা গুজরাট ফাইলসের মতো ছবি তৈরির পক্ষে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে সেই একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায়ের গলায়। সর্বদা হিন্দুত্বের পক্ষে আওয়াজ তোলা তথাগতবাবু গুজরাট ফাইলস ছবির বিষয়ে বলেছেন, “আমার আশ্চর্য লাগে, কাশ্মীর ফাইলস-এর পর থেকে কিছু হাবা-মুলো ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছে, “এবার গুজরাট ফাইলস হোক”! যদি গুজরাট ফাইলস হয় তবে তার প্রথম দৃশ্যই তো হবে, সবরমতি এক্সপ্রেসে নারী ও শিশু সমেত ৫৭ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারছে গোধরার ঘাঞ্চি মুসলমানেরা !”

২০০২ সালে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে সবরমতী এক্সপ্রেস ফিরছিল গুজরাটে। গোধরা এলাকায় সেই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনে থাকা অনেক করসেবক এবং অযোধ্যায় তীর্থ করতে যাওয়া মানুষের মৃত্যু হয়। সেই হিংসার আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে সমগ্র রাজ্যে। যা নিয়ে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তোলা হয়ে থাকে। সমালোচনা করলেও গোধরার ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান অনেকেই। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ২০০২ সালের আগে গোধরাতে অনেক সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল। কিন্তু ২০০২ সালের পরে আর তা হয়নি।