খেলা বদলাচ্ছে! বামেদের পিঠ চাপড়াচ্ছে তৃণমূল

আচমকা বাম ভালোবাসা (TMC) তৃণমূলের। বিরোধী দল বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানকে ফ্লপ বলে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সিপিআইএমের (CPIM) আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়েছে শাসক দল। এ নিয়ে…

আচমকা বাম ভালোবাসা (TMC) তৃণমূলের। বিরোধী দল বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানকে ফ্লপ বলে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সিপিআইএমের (CPIM) আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়েছে শাসক দল। এ নিয়ে চলছে তীব্র রাজনৈতিক আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী ভোটের সমীকরণে বড় পরিবর্তন হবে।

বিধানসভা নির্বাচনে বহিরাগতদের বাংলায় জায়গা নয়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে এই যুক্তি সামনে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) এই বক্তব্য প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে রাখতে দেখা গেছে৷ রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হয়, যেভাবে প্রতিনিয়ত বাইরের রাজ্য থেকে নিয়ম করে বিজেপি (BJP) নেতাদের আনাগোনা ছিল, তাতে হাতেগোনা কয়েকজন বিজেপির ভরসা নেই সেটা বোঝাই গিয়েছিল৷ পরবর্তীকালে তৃণমূল থেকে এক ঝাঁকে নেতারা শামিল হয়ে দল ভারি করে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

নির্বাচন শেষে ফলাফলে বাম শিবিরের ফলাফল দেখে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও মেনে নিতে পারেননি৷ বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া বাম শিবির ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে৷ তাদের একাধিক সমাবেশ থেকে বার্তা আসছে বিজেপি ও তৃণমূল এক৷ এই বার্তা জেলায় জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন সেলিম, সুজন মীনাক্ষীও শতরূপরা। এর মাঝে শাসক দলের দুর্নীতির বোঝা বামেদের কাজ আরও সহজ করে দিয়েছে।

বিরোধী দল হয়েও পরপর ভোটে ধাক্কা ও সিপিআইএমের নিচে নেমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নড়বড়ে বিজেপি৷ বাড়তে শুরু করেছে বাম। সম্প্রতি বর্ধমান শহরে বামেদের উগ্র য মিছিল ও সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে মানুষের ভিড় তার উদাহরণ। সেই তুলনায় বিজেপির নবান্ন অভিযানে কম উপস্থিতিতে শুরু তীব্র জল্পনা। যদিও কমপক্ষে ১১ কোটি টাকা খরচ করে দূরপাল্লার ট্রেন ভাড়া করে সমর্থক এনেছে বিজেপি।

বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি যে তেমন সফল নয় সেটি দলীয় স্তরেই আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আর মুখ্যমন্ত্রী ও তৃ়ণমূল নেত্রী বলেছেন বিজেপি বেলুন ফুটো হয়ে গেছে৷ তৃণমূলে আলোচনা, ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপির সংগঠন আরও দুর্বল হয়েছে সেটা আন্দাজ করতে পেরেছেন মমতা।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন বিজেপির নবান্ন অভিযান ফ্লপ কর্মসূচি। মানুষের সমর্থন ছিল না৷ অর্থাৎ মিছিল হলেও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা নজরে আসেনি৷ যেটা বামেদের একাধিক মিছিলে দেখা গেছে৷

রাজ্যে বাম সংগঠন বাড়ছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ হঠাৎ করে বামেদের পিঠ চাপড়াচ্ছেন কেন তৃণমূল নেতারা? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখা, বাংলার রাজনীতির সঙ্গে বিজেপির মতাদর্শ মেলাতে পারছেন না আম জনতা। দুর্নীতি ইস্যুতে বিজেপি সরব হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যেভাবে একের পর এক নেতারা এ দল ও দল করছে তাতে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ছে৷ আগামী পঞ্চায়েতে রাজ্যে বিরোধী ভোটে বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে। এমনটাই আন্দাজ করতে পারছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।