J P Nadda: বিজেপির বেহাল সংগঠন মেরামত করতে রাজ্য সফরে নাড্ডা

নেতারা কোনও যোগাযোগই রাখেননা কর্মীদের সাথে। পুরভোটে সিপিআইএমের নিচে নেমে গিয়েছে বিধানসভায় বিরোধী দল (BJP) বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবি হবে এমনই রিপোর্ট পেয়ে…

jp nadda

নেতারা কোনও যোগাযোগই রাখেননা কর্মীদের সাথে। পুরভোটে সিপিআইএমের নিচে নেমে গিয়েছে বিধানসভায় বিরোধী দল (BJP) বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবি হবে এমনই রিপোর্ট পেয়ে তড়িঘড়ি রাজ্য সফরে (J P Nadda) জে পি নাড্ডা।

আগামী ৯টি রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির নিজস্ব সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে কঠিন লড়াই। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে পুনরায় সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে জে পি নাড্ডা প্রবল চাপে। দলীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো একদম নড়বড়ে। পরিস্থিতি বুঝে রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা না করে নাড্ডা নিজে সফর করে সব বুঝতে মরিয়া।

   

বুধবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। বৃহস্পতিবার তিনি নদিয়া জেলায় ঢুকে। মায়াপুর ইসকন থেকে কর্মসূচি শুরু হবে নাড্ডার। বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল ঠিক করতেই নাড্ডার সফর।

বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভারতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই তিন জনকে নিয়েই জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের প্রবল উষ্মা। অভিযোগ, বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেলেও সিপিআইএম সাংগঠনিক কাঠামো ধরে রেখে পুরভোটে ফায়দা তুলে নিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটেও তাদের লাগাতার কর্মসূচিতে বাম শিবিরে ভিড় বাড়ছে। আর রাজ্য বিজেপি নেতারা নিজ নিজ এলাকায় সীমাবদ্ধ। আর তারা নিজ এলাকায় ভোট টানতেও ব্যর্থ। চরম গোষ্ঠিদ্বন্দ্বে জর্জরিত দলীয় নেতাদের কঠিন বার্তা দিয়েছেন বীরভূমের বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। তাঁর আব্বানে বীরভূম সহ একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মীরা বসে গেছেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের একাংশ দাবি, পুরভোটেই বিজেপির হাল বোঝা গেছে। পঞ্চায়েতে লড়াই হবে সিপিআইএমের সাথে।

সিপিআইএমের কটাক্ষ, বিধানসভায় সীমাবদ্ধ বিজেপির কোনও রাজনৈতিক জমি নেই রাজ্যে। তৃ়ণমূল ও বিজেপির অহরহ দল বদল দেখে রাজ্যবাসী বুঝছেন কারা আসলে সরকার বিরোধী।

বিধানসভায় বিরোধী দল হলেও বিজেপির দখলে নেই একটিও পুরসভা। আর সিপিআইএম ও কংগ্রেসের দখলে আছে দুটি পুরবোর্ড। এই তথ্য বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক হাল নিয়ে দিল্লি থেকে অনবরত ধমক খাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা।