তৃণমূল নেতাদের ঘনঘন দুবাই-বাংলাদেশ যাওয়ার কারণ কী? প্রশ্ন সুজনের

সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এমনকি একটি মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা…

CPI(M) leader Sujan Chakraborty in the hospital

সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এমনকি একটি মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এরই মধ্যে বোমা ফাটালেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন বাবু বলেন, তৃণমূলের নেতারা ঘনঘন দুবাই যান কেন? সিঙ্গাপুর জান কেন? কারোর চোখের চিকিৎসা জন্য দুবাই যেতে হয় কেন? বাংলাদেশে ঘনঘন যাতায়াত কার কার? তাহলে বিদেশ পর্যন্ত এই টাকার ভাগ কি চলে যাচ্ছে? ২৫-৭৫। ভাগ হলে ৭৫ কালীঘাট হলে বাকি কোথায় যাচ্ছে?

সুজন বলেন, এটা শুধু গরু চোর বলে ছোট করে দেখার প্রয়োজন নেই৷ এসএসসির চাকরি বিলি করছে৷ ছোট করে দেখার স্কোপ নেই৷ এন এস অনুব্রত আর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিঠ। নাকি যার কাজ যার কাছে উনি দাবি করেছিলেন হাসপাতালে ভর্তি করে দিন৷ ছেলে মেয়েরা রাস্তায় বসে রয়েছে৷ চাকরি অয়াচ্ছে না৷ বাংলার সমাজ জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে৷

সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বর্ষীয়ান বাম নেতার মন্তব্য, গোরু চোর সাইকেল চোর নিয়ে ভর্তি। নতুন কথা কি আছে! পুরানো কেস গুলো খুঁজলে দেখা যাবে। তারচেয়ে অনেক বড় পার্থবাবু ইজ এ ফেনোমেনা৷ চাকরি বিক্রি করে আধিকারিকদের সবাইকে সঙ্গী করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি৷ পার্থবাবু অনেক নেতার মধ্যে একজন, যার বহু বন্ধু বান্ধব। তার আবার একটা বন্ধবীর মধ্যে ফ্ল্যাটে ৫০ কোটি৷ ফেনোমেনা এই কারণে, বন্ধু বান্ধবী জোগাড় যন্ত্র করে তাঁদেরকে পার্কিং লট হিসাবে ব্যবহার করা হত। টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট না। ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে টাকা রাখার জন্য৷

তিনি আরও বলেন, নামে-বেনামে সম্পত্তি বৃদ্ধি করতেই প্যান নাম্বার বদল করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । শুধু তিনি একা নন । একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী রয়েছেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসদের মতো অনেকের আবার বয়সের তথ্য ঠিক নেই । একই ভাবে বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জাভেদ খানদের। চ্যালেঞ্জ করে বলছি তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধিটা দেখুন আর সূর্যকান্ত, অশোক ভট্টাচার্য ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়দের সম্পত্তি বৃদ্ধিটা দেখুন তফাৎটা বুঝতে পারবেন৷