Cow smuggling: জামিনের পথের কাঁটা ফিরহাদের মন্তব্য, আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে কেষ্ট

গত ১১ অগাস্ট থেকে গরু পাচার মামলায়(Cow smuggling) গ্রেফতার হন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিদের নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা।…

গত ১১ অগাস্ট থেকে গরু পাচার মামলায়(Cow smuggling) গ্রেফতার হন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিদের নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা। এরইর মধ্যে ফিরহাদের মন্তব্য অনুব্রতর জামিনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল। শুক্রবারেও আসানসোল আদালতে জামিন খারিজ হয়ে গেল কেষ্টর। আবারো ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকবেন তিনি।

বীরভূমে এক জনসভা থেকে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়,’বনের বাঘ না থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে। বাঘ ফিরে এলে শিয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো। সারাজীবন আটকে রাখতে পারবে না। বাঘ বেরিয়ে এলে শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে’। ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যকেই কার্যত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ফের পিছিয়ে হলো তার জামিন। আরও ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হল তাঁকে। আগামী ২৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এর আগে অবশ্য বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী। শুধুমাত্র তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্বকে উল্লেখ করে বারবার হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেছে সিবিআই। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরের মন্তব্য। যেখানে কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন,কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পর, শুক্রবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। 

গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর থেকে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তালিকায় রয়েছে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা-সহ বোলপুরের একাধিক ব্যবসায়ী। এমনকি দুই কাউন্সিলরকে অবধি তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখানেই শেষ নয়, অনুব্রত ও সুকন্যার ৫ টি লটারির টাকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। এখন নতুন করে অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার পর বীরভূমের নেতৃত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।