কেন্দ্রের সমস্ত টাকা গেছে তৃণমূল নেতাদের কাছেঃ দিলীপ ঘোষ

কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা নিয়ে দরবার করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের সম্পত্তির দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে।…

কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা নিয়ে দরবার করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের সম্পত্তির দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এবার তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ৷

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দিচ্ছে, তা খরচ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার টাকাও খরচ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা লুঠ করতে জানে, তাদের কে টাকা দেবে। কেন্দ্র যখন টাকা দিচ্ছে না বলা হচ্ছে, তখন কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে পাওয়া যাচ্ছে ? এখানে পার্থ বাবুর ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, অনুব্রতর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। আরও খোঁজ চলছে।

সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এই হারে যদি ধরা পড়ে তাহলে কে টাকা দেবে! কেন্দ্র থেকে যা টাকা এসেছে, সব নেতাদের বাড়ি চলে গিয়েছে, এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে টাকা দেবে? এমনকি তৃণমূলের মিছিল নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা ধরা পড়ছে। আর প্রতিবাদ মিছিল করছে। এটা দুঃখের বিষয়। আমাদের রাজ্যের নেতারা দুর্নীতিতে ধরা পড়েছেন এটা লজ্জার বিষয়। আর আবার মিছিল করছেন। এটা সমাজের কাছে লজ্জার বিষয়৷

এর আগে অবশ্য দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, দুটো উইকেট পড়েছে। আরও অনেক বেশি পড়বে আমার ধারণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি মন্ত্রী মণ্ডলের বৈঠক করতে হয় জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। অন্যদিকে, অনুব্রতর গ্রেফতারির পর দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রীর নাম গোরু পাচার কান্ডে উঠে আসছে। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তালিকায় আরও এক মন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন।

সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর বাড়ি থেকে যে তথ্য সিবিআই পেয়েছে তাতে গোরু পাচারের টাকা অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের কাছে যেত বলেই মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ সেই সূত্র ধরেই আগামী দিনে গোটা দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত সেটা খুঁজে দেখবে সিবিআই।