শোভনদেবের চাকরি নেই মন্তব্য ধরে আসরে ঝাঁপ শুভেন্দুর, মোদীর আমলে নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ শুরু

চাকরি নেই বলে তৃণমূল রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিতর্কে পড়লেন। শোভনদেবের বক্তব্যকে ধরে নিয়ে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার…

Suvendu-Adhikari-nandigram

চাকরি নেই বলে তৃণমূল রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিতর্কে পড়লেন। শোভনদেবের বক্তব্যকে ধরে নিয়ে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার যে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে তা ফাঁস হয়েছে মন্ত্রীর মন্তব্যে। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, মিথ্যালগ্নে জন্মালে যা হয় তাই হয়েছে।

শনিবার রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জবলেস গ্রোথের কথা তুলে ধরেন। এতে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কর্মসংস্থান নিয়ে সদর্থক বার্তা দেন। শোভনদেবের মন্তব্য তার বিপরীত।

   

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, শোভনদেবের ‘স্লিপ অব টাং’ হয়ে গেছে। ৪৫ লক্ষ লোক বাইরের রাজ্যে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে। এভাবে তো হয় হয় না। একটা শিল্প নেই। কারণ, ল্যান্ড পলিসি রাজ্যের নেই। মুখ্যমন্ত্রী কী কী শিল্প তাড়িয়েছে জানেন? নৈহাটির জুট মিল, চন্দননগরের জুট মিল, ভদ্রেশ্বর জুট মিল, ডানকুনির বিস্কুট কারখানা। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক চালু হল। এক লক্ষ নাম নথিভুক্ত হল। ১৫০০ টাকা বেকার ভাতা দেবে বলেছিল। সব এখন বন্ধ। মিথ্যালগ্নে জন্মালে যা হয় তা হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন বছরে ২ কোটি করে চাকরি দেবেন। এটা ২০২২ সাল। আট বছরে ১৬ কোটি চাকরী হওয়া উচিত। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনি নিজের পাড়ার মধ্যে ক’টা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেখেছেন। একটা ভাঁওতাবাজ কেন্দ্রীয় সরকার। তার আবার বড় বড় কথা।

তিনি বলেন, ১২ লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছে। ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে। রাজ্যে সমস্ত শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল। এরপর উচ্চমাধ্যমিক, গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স, পলিটেকনিক। এত ছেলে তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সঠিক দিক নির্দেশ করার কেউ নেই। প্রতিদিন সকাল বেলা যখন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি তখন ১০ টা লোক এলে ৫ জন চাকরির জন্য আসেন। তাঁদের মধ্যে কেউ গ্র্যাজুয়েশন পাশ। কেউ এমএ পাশ করেছেন।