রাজনৈতিক অস্তিত্ব খুইয়ে GTA ভোট স্থগিত করতে মমতাকে চিঠি গুরুংয়ের

রাজ্য সরকার জুন মাসে দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) ভোট করাতে চায়। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আপাতত ভোট স্থগিতের বার্তা দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা…

রাজ্য সরকার জুন মাসে দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) ভোট করাতে চায়। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আপাতত ভোট স্থগিতের বার্তা দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা (গোজমুমো) বিমল গুরুং।

গুরুং লিখেছেন GTA নির্বাচন এখনই নয়, আগে চাই পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। দার্জিলিংয়ে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুরুং হুঁশিয়ারি দেন, জোর করে জিটিএ নির্বাচন করানো হলে আমরণ অনশন শুরু করবেন।

গুরুং দাবি করেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রয়েছে মোর্চার। এখনই নির্বাচনের পথে হাঁটার দরকার নেই। বরং জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী সব দাবি পূরণ করুক রাজ্য সরকার। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক। প্রয়োজনে সরকার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে আলোচনা করুক। তার জন্য তিনি নিজে কলকাতায় আসতে প্রস্তুত। এসবের পরই নির্বাচনের কথা ভাবা যেতে পারে।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জুন মাস নাগাদ GTA নির্বাচন হবে দার্জিলিং জেলার পার্বত্যাঞ্চলে। ২০১৭ সালে জিটিএ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। এবার ফের নির্বাচনের মাধ্যমে জিটিএ-র নতুন বোর্ড গঠনের পালা।

সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভা ভোটে বিরাট ধাক্কা খেয়েছেন গুরুংপন্থীরা। গোজমুমোর গুরুং শিবির নেমেছে চতুর্থ স্থানে। দার্জিলিং শহর ও পুরসভার নতুন শক্তি হামরো পার্টি।

বিশ্লেষণে আসছে জিটিএ ভোট হলে হামরো পার্টির ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা। আর মোর্চার (গোজমুমো) গুরুং-তামাং দ্বন্দ্বের ফল পড়বে ভোট ব্যাংকে। বিজেপির নিজস্ব ভোট আছে। তৃণমূলেরও ভোট তৈরি হয়েছে। পুরনো দল জিএনএলএফ, সিপিআরএম (আর বি রাই), গোর্খা লিগের ভোট আছে। নতুন করে সিপিআইএমের সংগঠন তৈরি হচ্ছে। সবমিলে গুরুংয়ের একচ্ছত্র ভোট শক্তি নেই। দার্জিলিং, কার্সিয়াং সহ পাহাড়ি এলাকার রাজনীতিতে গুঞ্জন জমি হারাচ্ছেন গুরুং। ভোটে পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখে জিটিএ নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া তিনি।