Jalpaiguri: গরিব বাবার হয়ে কন্যাদান পুলিশ অফিসারের

ভালোভাবে মেয়ের  বিয়ে (marriage) দেওয়ার স্বপ্ন সব বাবা মায়েরই থাকে। সকলেই নিজের সাধ্য মতো মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পেশায় দিনমজুর সঞ্জীব দাসের মাথায়…

ভালোভাবে মেয়ের  বিয়ে (marriage) দেওয়ার স্বপ্ন সব বাবা মায়েরই থাকে। সকলেই নিজের সাধ্য মতো মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পেশায় দিনমজুর সঞ্জীব দাসের মাথায় মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়ে মাথায় বাজ পড়ার সমান ছিল। চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে মেয়ের বিয়ে কীভাবে দেবেন সেই নিয়ে তাঁর চিন্তার অন্ত ছিল না। অনেক চেষ্টার পরে বানারহাটেরই এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কমল সরকারের সঙ্গে তাঁর মেয়ে শান্তনার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেই সঞ্জীব দাসের মাথায় একটাই চিন্তা ছিল কিভাবে তার মেয়ের খরচ করবেন? এহেন অবস্থায় এই অসহায় বাবার পাশে দাঁড়ালেন বানারহাট থানার আই সি শান্তনু সরকার।

দাস পরিবারের মাথায় একটাই দুশ্চিন্তা ঘুরছিল যে তাদের মেয়ের বিয়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যাবে না তো? এদিকে বিয়ের দিন এগিয়ে আসায় প্রতিবেশীরাও দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কারণ তারাও সেভাবে সাহায্য করতে পারছিলেন না,শেষে একজন পরামর্শ দেন বানারহাট থানার আই সি শান্তনু সরকার খুব ভালো মানুষ এবং পরোপকারী,তাকে গিয়ে বললে কিছু সমাধান হলেও হতে পারে।

শেষে সঞ্জীব দাস বানারহাট থানায় গিয়ে আই সি শান্তনু সরকারের কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বলেন। শান্তনু সরকার তাদের জানান তিনি তাদের পাশে আছেন।অবশেষে বৃহস্পতিবার আই সি শান্তনু সরকার নিজে হাতে কন্যাদান করে চারহাত এক করে দেন বর এবং কনের। সঞ্জীব দাস জানান, ‘বিয়ের যাবতীয় খরচ করেছেন আই সি শান্তনু সরকার এবং তার অফিসারেরা।বিয়েতে প্রায় তিনশো লোক উপস্থিত থেকে পাত পেড়ে খেয়ে যান।’ এদিকে বানারহাটের স্থানীয় মানুষ খুশী পুলিশের এই উদারতা দেখে।