পৌষ সংক্রান্তি (Poush sangkranti) এবং পিঠে পুলি উৎসব। পশ্চিমবঙ্গ সহ বাংলাদেশে পৌষ পার্বণ এক বড় উৎসব। পৌষের শেষে নতুন চাল ও খেঁজুর গুড়ে বিভিন্ন রকম পিঠে তৈরি করা হয়।
মকর সংক্রান্তি ২০২৩ বা পৌষ সংক্রান্তি ২০২৩ হল পৃথিবীর গতির সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তন। সূর্য এইসময় মিথুন থেকে মকর রাশিতেপ্রবেশ করে । যা ২১ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সূর্যের এই গমনকে উত্তরায়ণ বলা হয়। এবং এর পরে যখন সূর্য কর্কট থেকে ধনুরাশিতে প্রবেশ করে, যা দক্ষিণায়ন নামে পরিচিত।
সনাতন ঐতিহ্যে মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা সাগরের তীর্থযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয়, সংক্রান্তির দিন গঙ্গাসাগরে স্নান ওদান করার যে গুরুত্ব তা আর কোথাও পাওয়া যায় না। এই কারণেই প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের এই বৃহত্তম মেলায় বিপুল সংখ্যক ভক্তেরসমাগম হয়। পশ্চিম বঙ্গে এই দিনটি পালন হয় মকর সংক্রান্তি পৌষ পার্বণ হিসাবে। বাড়িতে বাড়িতে নানা রকম পিঠেপুলি, পাটিসাপটা তৈরি করা হয়।
পশ্চিম বঙ্গ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে এই উৎসব পালন করা হয়৷ বিহার রাজ্যে পরিচিত তিল সংক্রান্তি হিসাবে। ওড়িশাবাসী পালন করেন মকর চাউলা বা মকর সংক্রান্তি বলে। প্রতিবেশ আসামে নাম মাঘ বিহু। আবার ভোগালি বিহুও বলেন অনেকে। ত্রিপুরাই একে বলে হাংরাই।
উত্তরপ্রদেশে এই উৎসবের নাম উত্তরায়ণ। একে ঘুঘুটি বা মকর সংক্রান্তি বলাও হয়। মধ্যপ্রদেশেও সংক্রান্তি, মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ন তবে সেখানে কেউ কেউ দিনটিকে মকর সংক্রমণও বলেন। গুজরাটে দিনটি পালন করা হয় উত্তরায়ণ । এদিন ঘুড়িরও উৎসব হয় সেখানে।
হিমাচল প্রদেশে একে ডাকা হয় মাঘি সাজি নামে। হরিয়ানায় এর নাম সক্রত। পঞ্জাবে এই উৎসবের নাম মাঘি। এদিন লোরি পালন করা হয়। মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় এই উৎসবের নাম হলদি কুমকুম ।আবার মাঘি সংক্রান্তিও নামেও পরিচিত। অন্ধ্রপ্রদেশে এই উৎসব পেড্ডা পান্ডুগা ।তেলেঙ্গানায় সংক্রান্তি, মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ন। কর্ণাটকে একে বলে সুগ্গি হাব্বা।কেরলে এই উৎসব পালন করা হয় মকরভিলাক্কু বা মকর জ্যোতি। তামিলনাড়ুতে একে বলে পোঙ্গল ।
প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও খুব ধুমধাম করে পোঙ্গল পালন পালন করা হয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও এ দিন মকর সংক্রান্তি পালন করা হয় পৌষ পার্বণ হিসেবে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও এই দিনটিকে উজাভার থিরুনাল আর থাই পোঙ্গাল বলে পালন করা হয়।