মারাত্মক মোমো! না জেনেই সাংঘাতিক ক্ষতি করছেন শরীরের

রাস্তায় বেরিয়েছেন, আর মোমোর (momo) দোকান চোখে পড়েনি, আজকাল তা আর হয় না। মোমোর প্রতি প্রেম দেখে আদতে এই ডিশ কোন দেশী, তাই ভুলতে বসেছি…

eating momos

রাস্তায় বেরিয়েছেন, আর মোমোর (momo) দোকান চোখে পড়েনি, আজকাল তা আর হয় না। মোমোর প্রতি প্রেম দেখে আদতে এই ডিশ কোন দেশী, তাই ভুলতে বসেছি আমরা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে গজিয়ে উঠেছে মোমো স্টল। বিক্রিও হচ্ছে দারুণ। মোমোর উৎপত্তি ধরা হয় তিব্বত থেকে। এটি ভারতে আসে সম্ভবত তিব্বতি শরণার্থীদেই সাথে । এই খাবারটি নেপালেও খুবই জনপ্রিয়। কিছুটা প্রভাব সেখান থেকেও এসেছে।

হিমালয়ের কাছাকাছি যেমন লাদাখ, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, অরুণাচল, আসাম ইত্যাদি অঞ্চলে ঢেলে বিক্রি হয় মোমো। তবে এটি খাওয়ার সময়ও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিভিন্ন ধরণের এবং স্বাদে পাওয়া মোমোগুলিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।

মোমো খেলে কী কী ক্ষতি হচ্ছে শরীরের
মোমোতে মনো-সোডিয়াম গ্লুটামেটও থাকে, যা স্থূলতার কারণ হতে পারে।
এক জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মোমোর ভিতরে থাকা সবজি কখনও কখনও নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর হয়। এগুলিতে ই-কোলাই-এর মতো ব্যাকটেরিয়াও থাকতে পারে, যা মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়।

মোমোর চাটনি বেশি খেলে পাইলস, পেটে জ্বালাপোড়া, গ্যাস, হজমের সমস্যা ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
লাল লঙ্কা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হলেও, প্রক্রিয়াজাত লঙ্কার গুঁড়ো শরীরের ক্ষতি করছে। এই লঙ্কার গুঁড়ো দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে মোমো তৈরিতে। মোমোর সাথে পরিবেশন করা গরম লাল লঙ্কা দিয়ে তৈরি চাটনি শরীরকে ক্রমশ অসুস্থ করে তোলে।

অত্যধিক মোমো খাওয়ার ফলে স্নায়ুর সমস্যা, ঘাম, বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি হতে পারে।মোমো বেশি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যেহেতু এটি ময়দা থেকে তৈরি, তাই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পরতে পারেন।
ময়দাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায় রক্তে চিনির মাত্রা বাড়তে পারে।