ক্যালেন্ডারে চোখ রাখলে , আজ চকোলেট দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে চকোলেট ডে উদযাপন করা হয়। আট থেকে আশি, সকলেরই পছন্দের একটি খাবার হল চকোলেট। ভালবাসার মানুষকে মনের কথা জানানোই হোক কিংবা কারুর মন ভাল করা, ছোট ছোট আনন্দ সেলিব্রেট করার জন্য, এক টুকরো চকোলেটই যথেষ্ট। এছাড়া, বিশেষ করে কাউকে উপহার দিতে এই খাদ্যের জুড়ি মেলা ভার।
তবে আপনি কি জানেন চকোলেটের আদি নিবাস কোথায়? এর স্বাদ প্রথম কারা গ্রহণ করেছিল?
সূত্রের খবর, লাতিন আমেরিকার মায়া সভ্যতাই প্রথম স্বাদ গ্রহণ করে। এমনকী এই ‘চকোলেট’(chocolate) নামটিও এসেছে তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়।কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত এই চকোলেট প্রথম দিকে পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করা হত বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে মায়াদের কাছ থেকে চকোলেটের ব্যবহার শিখে নেয় আজটেকরা। তাদের আরাধ্য দেবতা কোয়েটজালকটলই নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। আর এই গাছের ফল খেলে সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতা দুই-ই জয় করা যায়। এমনই বিশ্বাস ছিল তাদের। সেই কারণে ওই দেশে কোকো গাছ দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয়। এমনকি দেবতাকে চকোলেট উৎসর্গ করারও নজির রয়েছে।
আধুনিক চকোলেটের প্রথম কারখানা গড়ে ওঠে স্পেনে। ১৯০৫ সালে (1905)জর্জ ক্যাডবেরি (জুনিয়র) স্পেন থেকে ক্যাডবেরি বারের রেসিপিটি শিখে এসে প্রথম এটি তৈরি করেন।
এতো গেল চকোলেটের আদি কথা। কিন্তু চকোলেটে রয়েছে প্রচুর উপকারিতাও। চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীর, মন চনমনে রাখতে চকোলেটের কোন বিকল্প নেই।তাই বিশ্ব চকোলেট দিবসে চকোলেটের হাত ধরেই মিষ্টি মুখ হয়ে যাক সকলের।