দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে গেলেও, জেলার বাজারে আনাজের দাম (vegetable price)কমার কোনো লক্ষণ নেই। পটল, ঢেঁড়স, আদা, লঙ্কা—এই সব আনাজের দাম(vegetable price) পুজোর পরেও বাড়তে থাকে, যা ক্রেতাদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখা জানিয়েছে, বেআইনি মজুত ঠেকাতে তারা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন।
বিক্রেতারা জানান,পুজোর আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে আনাজের চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে আনাজের সরবরাহ কমেছে, যা দাম বাড়ানোর জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইফোঁটার সময়ে দাম আরও কিছুটা বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কমেছে এবং তারা শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক আনাজ(vegetable price) কিনছেন।
দাম বাড়ার কারণ
গত এক বছরের মধ্যে আনাজের দাম(vegetable price) বাড়ার প্রবণতা স্পষ্ট। টমেটো, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং কাঁচা লঙ্কার দাম দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী। সাধারণত শীতের সময় বাজারে নতুন আনাজ(vegetable price) আসতে শুরু করলে দাম কমে যায়, কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।
বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ২৮-৩০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪৫-৫০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৪৫-৫৫ টাকা, টমেটো ৮০-১২০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫৫ টাকা, কচু ৪৫-৫৫ টাকা, কুমড়ো ২৫-৩৫ টাকা, গাজর ৮০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, আদা, রসুন এবং লঙ্কার দামও বাড়ছে। আদা ১২০-২০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৫০-২২০ টাকা, রসুন ৩৫০-৪২০ টাকা, এবং ধনেপাতা ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য এক বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
বিক্রেতাদের বক্তব্য
সিউড়ির কোর্ট বাজার এলাকার বিক্রেতা বলেন, “পুজোর আগে যে বৃষ্টিটি হয়েছে, তা প্রচুর আনাজ নষ্ট করেছে। ফলে বাজারে আনাজের যে পরিমাণ জোগান থাকত, সেটা এ বার অনেকটাই কম। জোগান কম থাকার কারণে দামও বেশি।” তিনি আরও জানান, দাম বাড়ার ফলে বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে এবং ক্রেতারা অতি প্রয়োজনীয় আনাজ ছাড়া বিশেষ কিছু কিনছেন না।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার ডিএসপি স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “আনাজের দাম যে বেড়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমানে ১০০ টাকার নিচে প্রায় কোনও আনাজই পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এই অতিরিক্ত দামের উপরে নিয়মিত নজর রাখছি। তবে এখনও কোথাও কোনো মজুতদারির খবর আমাদের কাছে নেই।” তিনি জানান, পুজোর আগে অতিবর্ষণই মূলত এই দাম বাড়ার জন্য দায়ী।