Dengue: কাউন্সিলরদের গা ছাড়া ভাবেই বেড়েছে ডেঙ্গু,স্বীকার পুরসভার

জেলাগুলিতে তো বটেই কলকাতাতেও লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬০০০ এরও বেশি মানুষ। ডেঙ্গু(Dengue) প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের ভূমিকায় যথেষ্ট অসন্তুষ্ট…

জেলাগুলিতে তো বটেই কলকাতাতেও লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬০০০ এরও বেশি মানুষ। ডেঙ্গু(Dengue) প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের ভূমিকায় যথেষ্ট অসন্তুষ্ট পুরসভার আধিকারিকরা। সঠিক সময় তৎপর হয়ে কাজ করেনি কাউন্সিলাররা, যার জেরি মারাত্মক আকার নিয়েছে ডেঙ্গু। এমনকি এটাই মানছে পুরসভা।

কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ফাঁকা জায়গায় বজ্র পদার্থ ও জমা জলেই ডেঙ্গুর মশার আঁতুঘর। এই থেকেই মারাত্মক আকার নিয়েছে ডেঙ্গু।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এর আগেও দক্ষিণবঙ্গে পরিত্যক্ত জমি যে ডেঙ্গুর অন্যতম প্রধান কারণ এমনটাই সোনা গিয়েছে মেয়র ববি হাকিমের কথায়। পুরসভার রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরের ফাঁকা পরিত্যক্ত জায়গার সংখ্যা প্রায় ৩৮৩ টি যেখানে দক্ষিণে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গার পরিমাণ প্রায় ৩০৩৮ টি। শুধুমাত্র পরিত্যক্ত জায়গা নয়, পুকুর,খাল,নর্দমা, পাতকুয়া যেখান থেকে ডেঙ্গু মশা ছড়াতে পারে এরকম উৎস অনেকটাই বেশি। যার ফলে ডেঙ্গুর আঁতুরঘর যে দক্ষিণ কলকাতা তা বলার অবকাশ থাকে না। এই নিয়ে দক্ষিণের পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিকে দুষেছেন মেয়রও।

ক্রমে কলকাতায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বর্তমানে যে পরিচিতি তার জন্য কাউন্সিলর দেরি দায়ী করছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা পুর স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। তার দাবি বেশ কয়েক মাস আগেই ডেঙ্গু মোকাবিলা নিয়ে জরুরী বৈঠক করে কাউন্সিলরদের সতর্ক করা হয়েছিল কলকাতা পৌর নিগমের তরফ থেকে। কিন্তু তারপরেও কোনরকম জরুরি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কাউন্সিলরদের। আর যার জন্যই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কাউন্সিলরদের ভূমিকায় যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র।

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গু সচেতনতা প্রচারে নিজেই হেঁটেছেন। রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে তিনি ডেঙ্গুর মোকাবিলার প্রচার চালিয়েছেন। তারপরেই টনক নড়েছে দক্ষিণের কাউন্সিলরদের। রাস্তায় নেমে সচেতনতার প্রচার করতে দেখা যায় কাউন্সিলরদের। ডেপুটি মেয়র ও বিরোধীদের মতে, ডেঙ্গুর প্রকম যখন এতটা ছিলনা তখনই যদি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতো তাহলে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠত না।

 কাউন্সিলরদের এহানে ভূমিকায় খামতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র। তার কথায় তিনি কাউন্সিলরদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কোন জায়গায় কিভাবে কাজ করতে হবে। তার আরও সংযোজন, তাঁর হয়তো কোথাও খামতি থেকে গিয়েছিল যার জন্যই কাউন্সিলররা তাদের ভূমিকা ঠিক মতো করে পালন করতে পারলেন না’।