কার নির্দেশে ১০ বছর ধরে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময়? খুঁজছে CBI

নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে (CBI) সিবিআই। হাতে এসেছে তথ্য, একটানা ১০ বছর ধরে পর্ষদের সভাপতি পদে বসে…

kalyan Ganguly

নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে (CBI) সিবিআই। হাতে এসেছে তথ্য, একটানা ১০ বছর ধরে পর্ষদের সভাপতি পদে বসে ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করতেন কল্যাণময়৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টেও অভিযোগ উঠেছে৷ সিবিআইয়ের প্রশ্ন, টানা দশ বছর ধরে কার নির্দেশে সভাপতি পদে বসেছিলেন কল্যাণময়?

সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে জানায় উপদেষ্টা কমিটির নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা ছিল না। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, বারবার দুর্নীতিতে কিংপিন শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ ছিল৷ সিবিআইয়ের অনুমান, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত ছাড়া এতদিন পর্ষদের সভাপতি পদে থাকা সম্ভব নয়৷

কারণ, বারবার শাসক পক্ষের ঘনিষ্ঠ থেকেছেন কল্যাণময়। ২০১৬ সালে তাঁর মেয়াদ শেষের পরেও পর্ষদ সভাপতি পদে তাঁকে বসিয়ে রাখার জন্য আইন পরিবর্তন অবধি করা হয়েছিল। ২০১২ কল্যাণময় যখন সভাপতি হন তখন পর্ষদ সভাপতির মেয়াদ ছিল ৬৫ বছর৷ পরে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬৮ বছর করা হয়। এমনকি মেয়াদ শেষের পরেও তাঁর জায়গা অক্ষুন্ন ছিল। সম্প্রতি সিবিআই তদন্ত শুরু করলেই তাঁকে সরানো হয়। একমাত্র শাসক পক্ষের প্রভাবশালীদের হাত না থাকলে এতটা নিয়মভঙ্গ করা সম্ভব নয়৷

সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগের ক্ষেত্রে তালিকার সুপারিশপত্র পেন ড্রাইভ অথবা সিডি ডিস্কের মাধ্যমে অথবা হার্ড কপি পর্ষদ সভাপতির অফিসে নিয়ে আসতেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা৷ সেখান থেকেই তালিকা তৈরি করা হত৷ এমনকি বাগ কমিটির রিপোর্টেও গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ গোটা দুর্নীতির মধ্যে কল্যাণময়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কল্যাণময়ের ওপর কার হাত ছিল? সেটাই খুঁজে বের করতে চায় সিবিআই।