আশংকাই সত্যি হল। ষষ্ঠীর সকালে আবহাওয়া (weather update) পরিষ্কার থাকলেও দুপুর হতেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে অন্ধকার করে আসে আকাশ। মেঘঢাকা আকাশকে তোয়াক্কা না করেই মানুষ জড়ো হয় মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে। ঘূর্ণাবর্তেপ জেরেই পুজোর মাঝেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকতে চলেছে মানুষ। তবে বজায় থাকবে গুমোট গরম। অপরদিকে, আজ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল হাওয়া অফিস, আগামী ৪ তারিখ থেকে যার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।
আজ মহাসপ্তমী। দুর্গাপুজোর সূচনা উপলক্ষ্যে প্রতিটি মানুষের মনে আনন্দের জোয়ার। গত দু’বছর করোনার কারণে উৎসবের রং খানিকটা ফিকে হলেও এ বছর ইতিমধ্যেই ফেস্টিভ মুড জারি হয়েছে। তবে আবার এর মাঝেই দেখা দিয়েছে ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি। বঙ্গোপসাগরে পরপর দুটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ।
নতুন জামা-কাপড় পরে পুজো দেখা কিংবা প্যাণ্ডেলে বসে আড্ডা মারার আনন্দ মাটি হতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে নিম্নচাপের কারণে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী দক্ষিণবঙ্গের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সপ্তমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ ঘণ্টা এবং দুই মেদিনীপুরে। অর্থাৎ উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অষ্টমীর দিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। নবমীতে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ।