জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস তেহখানায়’ পুজো-আরতি চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দুরা, মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সোমবার মসজিদ চত্বরে পুজো-পাঠ সংক্রান্ত মামলায় বারাণসী আদালত ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত৷
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস তেহখানায়’ পুজোর অনুমতি দিয়েছিল৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষ এলাহাবাদ হাইকোর্টে ২টি আবেদন করেছিল৷ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মসজিদ কর্তৃপক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জ্ঞানবাপীর ‘ব্যাস তেহখানায়’ পুজোর নির্দেশ বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: Gyanvapi Mosque: পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে হবে সমাধান জ্ঞানবাপী বিরোধ!
এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও মুসলিম পক্ষের সেই আবেদন খারিজ করে পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ বহাল রাখে৷
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, চলতি বছরের ১৭ এবং ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশের পরে এই মসজিদে নির্বিঘ্নে নমাজ পড়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অন্যদিকে, কেবলমাত্র তেহখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয় হিন্দুদের পুজো-আরতি। তাই শর্তের ভিত্তিতে এই দুই সম্প্রদায়ই উপাসনা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তবে আদালতের তরফে এও জানানো হয়েছে, তেহখানায় পুজোর অনুমতি প্রসঙ্গে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী জুলাই মাসে৷
আরও পড়ুন: Gyanvapi Mosque: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের বিতর্কিত অংশ খোলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে মোট চারটি তেহখআনা রয়েছে৷ ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেখানে প্রার্থনা চলত৷ ফের নতুন করে সেখানেই পুজো শুরু হয়েছে।