HomeBharatঅধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও হৈ হট্টগোল! কড়া ব্যবস্থা ওম বিড়লার

অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও হৈ হট্টগোল! কড়া ব্যবস্থা ওম বিড়লার

- Advertisement -

নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর: শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও লোকসভার (Lok Sabha SIR protest)ভেতর একই দৃশ্য স্লোগান, বিক্ষোভ, বাধা, এবং মাত্র কয়েক মিনিটের আইন প্রণয়ন কাজ। সোমবার সকাল ১১টা থেকে অধিবেশন শুরু হতেই তুমুল হট্টগোলের মধ্যে মাত্র ১৫ মিনিট সংসদীয় কাজ চলার পর অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় দুপুর পর্যন্ত। এর পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে ডাকেন। লক্ষ্য দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করা এবং সংসদের গরিমা পুনরুদ্ধার করা।

অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী সাংসদরা ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’ স্লোগান তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁদের দাবি ছিল, চলতে থাকা SIR যা ভোটার লিস্ট সংশোধনের একটি বিশেষ উদ্যোগ তা নিয়ে আলোচনার জন্য অবিলম্বে সময় বরাদ্দ করতে হবে। বিরোধীর অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে অনিয়ম, অভিযোগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তাই সংসদে এর বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা প্রয়োজন।

   

স্পিকার ওম বিড়লা বারবার সংসদের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট “প্রশ্নোত্তর পর্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষ সংসদের কাজ দেখছেন, আপনারা যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তা সংসদের মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়।

মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু শালীনতা বজায় রাখতে হবে।” তাঁর এই অনুরোধ সত্ত্বেও বিরোধী দলের স্লোগান থামেনি, যার ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো অধিবেশন একাধিকবার স্থগিত করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগের দিনও একইভাবে মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময় সংসদীয় কাজ হয়েছিল।

এদিকে, প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং (ললন সিং) পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY) এবং Animal Husbandry Infrastructure Development Fund (AHIDF) প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থবরাদ্দ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পগুলি চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গ নাকি এদের যথেষ্ট সমর্থন দেয়নি।

তাঁর কথায়, “Viksit Bharat গড়তে হলে প্রতিটি রাজ্যকে উন্নয়নের পথে হাঁটতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য শিল্পে বিপ্লব আনতে PMMSY চালু করেছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গ এই প্রকল্পে প্রত্যাশিত সহযোগিতা করেনি।”

বিক্ষোভ চলতে থাকলেও স্পিকার ছিলেন কঠোর। অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ সংসদের অধিকার, কিন্তু এমন আচরণ সংসদের ঐতিহ্য নয়। তিনি বলেন, “এটাই কি সাংসদদের ঐতিহ্য? পুরো দেশ দেখছে।” বিরোধিতা করবেন এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

কিন্তু শৃঙ্খলা ভাঙা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।” এদিকে, বিরোধীরা দাবি তুলেছেন SIR প্রক্রিয়া নিয়ে দেশে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার অখণ্ডতার প্রশ্ন উঠছে। তাই সংসদে এই বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সময়সাপেক্ষ’ আলোচনা প্রয়োজন। যদি সরকার আলোচনা না করে, তাহলে বিক্ষোভ চলবে এমন অবস্থানেই তারা অটল।

শীতকালীন অধিবেশন ১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই ধারাবাহিক বিক্ষোভে প্রশ্ন উঠছে—এই অধিবেশনে কতটা আইন প্রণয়ন কাজ সম্ভব হবে? সংসদ অধিবেশন প্রতি মিনিটে করদাতাদের বিপুল অর্থ খরচ হয়। তাই বিরোধী ও সরকারের সংঘাত সংসদীয় কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

- Advertisement -
online desk
online desk
Get Bengali news updates, Bengali News Headlines , Latest Bangla Khabar, Bengali News from Kolkata
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular